জলের মধ্যেই খুদেদের শরীরচর্চা চলছে মড়ারগ্রামের প্রাথমিক স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র
স্কুলের সামনে প্রার্থনার লাইনে দাঁড়িয়েছে খুদেরা। পায়ের নীচে জল। বিষ্ণুপুরের মড়ারগ্রামের পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক স্কুলের ছবিটা বেশ কয়েক দিন ধরে এ রকমই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া কংসাবতীর শাখা ক্যানাল সংস্কার হয়নি অনেক দিন। ফলে ক্যানালে জল ছাড়া হলে বা একটু ভারী বৃষ্টি হলেই স্কুল চত্বরে জল ঢুকে পড়ে। তাঁরা জানান, স্কুলে যেতে হলে এখন জল ডিঙোনো ছাড়া উপায় নেই। সেই জল কোনও কোনও জায়গায় খুদে পড়ুয়াদের প্রায় হাঁটু সমান।
প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার মণ্ডল জানান, ১৮৩ জন পড়ুয়া ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে তাদের অনেকেই ঠাণ্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাঁর অভিযোগ, সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পড়ুয়াদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকেরাও। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সাহাবুদ্দিন মণ্ডল, ইমরান দালালরা বলে, ‘‘প্রায় দিন দশেক হতে চলল এই অবস্থা। আমরা জল পেরিয়েই রোজ আসছি।’’
মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাগর সাউ বলেন, ‘‘ওই জল বের করার জন্য নালা কাটা দরকার। অতি বৃষ্টির জন্য এই সমস্যা হয়েছে। শীঘ্রই আমরা জল বের করার ব্যবস্থা করব।’’ বিডিও (বিষ্ণুপুর) জয়তী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সমস্যার কথা শুনলাম। খোঁজ নিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’