প্যাঁক প্যাঁক শব্দে জমল বাজার

দুপুর গড়াতে না গড়াতেই দীপক মাহাতোর ঝুড়ি খালি। মনসাপুজো উপলক্ষ্যে পুরুলিয়া ১ ব্লকের মাঙ্গুড়িয়ার এই যুবকের নিয়ে আসা সমস্ত হাঁস বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখে তেমন হাসি নেই। ব্যাপার কী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:১০
Share:

মনসাপুজোর আগে পুরুলিয়া শহরের কোর্ট মোড়ে চলছে হাঁসের বিকিকিনি।—নিজস্ব চিত্র

দুপুর গড়াতে না গড়াতেই দীপক মাহাতোর ঝুড়ি খালি। মনসাপুজো উপলক্ষ্যে পুরুলিয়া ১ ব্লকের মাঙ্গুড়িয়ার এই যুবকের নিয়ে আসা সমস্ত হাঁস বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখে তেমন হাসি নেই। ব্যাপার কী? শুকনো মুখে তাঁর জবাব, ‘‘খুশি হব কী করে? বিক্রি তো হবে জানতাম। কিন্তু দাম আর পেলাম কই?’’

Advertisement

আজ বুধবার পুরুলিয়া জেলাজুড়ে মনসা পুজো। মহা ধুমধাম করে পুজো হবে। তাই এই পুজোর উপাচার হিসেবে হাঁসের বেচাকেনাও জমে গিয়েছিল মঙ্গলবার। জেলার অন্যতম এই বড় পুজোয় টানা তিনদিন ধরে মাতবেন বাসিন্দারা। বস্তুত মঙ্গলবার থেকেই পুজোর রেশ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ফুল, ফল, মিষ্টির মতোই হাঁসের বেচাকেনাও জমে উঠেছে।

এ দিন পুরুলিয়া শহরের বড়হাট-সহ লাগোয়া রাস্তাগুলি চলে গিয়েছিল হাঁসের ক্রেতা-বিক্রেতাদের দখলে। ভোর থেকেই বড়হাটের মোড়, কোর্ট মোড়, স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তা, জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড চত্বর, স্টেটব্যাঙ্ক মোড়-সহ সমস্ত রাস্তাতেই থিকথিকে ভিড়। চারপাশে প্যাঁক-প্যাঁক শব্দ। কান পাতাই দায়।

Advertisement

যদিও বিক্রেতাদের আক্ষেপ, এ বারে দাম তেমন মেলেনি। মাঙ্গুড়িয়ার দীপক বলেন, ‘‘প্রতিবাদের মতোই এ বারও হাঁস এনেছিলাম। প্রায় ৫০টা পঞ্চাশেক। দুপুরের মধ্যেই বেশির ভাগই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ বারে ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। গতবারে ৩০০ টাকা করে দাম পেয়েছিলাম।’’ পুরুলিয়া ১ ব্লকের লাগদা গ্রামের সরলা বাউরি, ডলি বাউরি-সহ অনেকেই হাঁস কিনতে এসেছিলেন। হাঁস কিনে ব্যাগে, ঝুড়িতে ঢোকাতে ঢোকাতে তাঁরা বলেন, ‘‘ঘরে পুজো। হাঁস দিতেই হবে। কিন্তু যা দাম!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন