দে দৌড়
নানুর: সবে বেঞ্চের উপর বইটা রেখেছে কি রাখেনি নানুরের নবস্তা হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। সেই সময় প্রাচীরের বাইরে ভারী বুটের শব্দ। কৌতুহলী হয়েই গেটের ওপারে থেকে মুখ বাড়াল এক দঙ্গল কুচোকাঁচা। প্রথমেই খাঁকি উর্দিধারীদের দেখে ‘মামা-মামা’ করে চেঁচিয়ে উঠল। সর্বজনীন পুলিশ মামারা তার মর্মার্থ অনুধাবন করলেও জলপাই রঙের পোশাকধারীরা হয়তো তাদেরকেই ডাকা হচ্ছে ধরে নিয়ে কুচোদের হাত নেড়ে কাছে ডাকেন। কিন্তু ততক্ষণে দৌড়ে স্কুল ঘরে সেঁধিয়েছে ভাগ্নেরা। যা দেখে এক শিক্ষকের সরস মন্তব্য, ‘‘ওরা পুলিশ মামা ছুঁলে আঠারো ঘায়ের কথা শুনেছে। তাই হয়তো নতুন মামাদের ডাকে কাছে যেতে আর ভরসা পায়নি।’’
রণনীতি
বোলপুর: উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজ্য নেতৃত্বের। কিন্তু বিশেষ কারণে তাঁরা হাজির না থাকলেও, বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বুধবার বোলপুরে একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে কর্মী সম্মেলন করল। দলের জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘নির্বাচনের বিধি নিষেধের কথা মাথায় রেখে রণনীতি, প্রচার কর্মসূচীর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর আরও জোর কদমে শুরু হবে প্রচারের কাজকর্ম।’’ এ দিন প্রচারের কৌশল নিয়েও কথা হয় সভায়।
মান্ডিতে ঠাঁই
মহম্মদবাজার: দু’দিন হল এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে মহম্মদবাজারে। বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ ও ওসি নিলৎপল মিশ্রর নেতৃত্বে বুধবার ভুতুড়া ও চড়িচা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় রুটমার্চ করে। বিডিও বলেন, ‘‘বাহিনীতে ১২৫ জন জওয়ান আছে। সোমবার বাহিনী এসেছে। মঙ্গলবার থেকেই এলাকায় রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেকেড্ডা ও দ্বিগলগ্রাম এলাকায় রুটমার্চ করা হবে। স্থানীয় কিষানমান্ডিতে জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
অনলাইন
রামপুরহাট: নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন, মনোনয়ন পত্র দাখিল এবং নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া সুবিধা ও সমাধান সম্পর্কে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করলেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস। মঙ্গলবার ওই বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা এসডিও-র কাছে নির্বাচন কমিশনের অন লাইন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের দাবি জানান। সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দু’জন প্রতিনিধিকে আজ বৃহস্পতিবার মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’