নিশুত রাত। রোজকার মতোই মঙ্গসবার রাতে ঝালদা শহরে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সবে পুলিশের টহলদারি ভ্যান এসে ঝালদা বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়েছে। ঘড়িতে তখন পৌনে দু’টো। পুলিশ কর্মীরা দেখেন, অন্ধকার ফুঁড়ে এগিয়ে আসছে একটি মূর্তিমান দাঁতাল!
এ সময় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে দাঁতালের উপদ্রবের কথা আকছারই শোনা যায়। সত্যিই কি হাতি? না কি রাতের অন্ধকারে তাঁরা ভুল দেখছেন? চোখ রগড়ে নিয়ে পুলিশ কর্মীরা ভাল করে তাকিয়ে দেখেন, ঠিকই দেখেছেন। একটি দাঁতাল রাস্তা ধরেই তাঁদের দিকেই এগিয়ে আসছে!
মাঝ রাতে শহরের রাস্তায় একটি দাঁতালকে এগিয়ে আসতে দেখে তাঁরা প্রথমে হকচকিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিটি অবশ্য দুলকি চালে একেবারে রাজকায়ী কায়দায় এগিয়ে এসে পুলিশের গাড়ির পাশ দিয়ে মূল রাস্তা ধরে বেশ কিছুটা হেঁটে জঙ্গলের রাস্তা ধরে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুলিশ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, ঝালদা রেঞ্জের খামারের জঙ্গল থেকে এই দলছুট দাঁতালটি ঝালদায় ঢুকে পড়েছিল। খামারের দিক থেকে সোজা ঝালদার হাটবাগান মোড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সত্যভামা বিদ্যাপীঠ মোড় ঘুরে কাঁসরা, মহাদেবপুর হয়ে কোটশিলার কাঁড়িয়রের দিকে চলে যায়। ঝালদার রেঞ্জ অফিসার অমিয়বিকাশ পাল বলেন, ‘‘গত রাতে খামারের জঙ্গল থেকে একটি দলছুট হাতি ঝালদা শহরে ঢুকে পড়েছিল। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। হাতিটি ঝালদা শহরে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতেই ঝালদার নওয়াগড় সংলগ্ন এলাকায় একটি দলছুট হাতি ও খামার বিটের উহাতু এবং জজহাতু গ্রামে তিনটি হাতি বেশ কয়েক হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করেছে।