জোড়া খুনে ১১ জনের যাবজ্জীবন

সরকারি আইনজীবী জানান, জায়গা নিয়ে দুই পারিবারের বিবাদে ২০০১ সালের ৩০ জুলাই রামপুরহাট থানার বলরামপুর গ্রামে এক পরিবারের দুই ভাই, রাধাবল্লভ মণ্ডল (৪৯) এবং গোপীবল্লভ মণ্ডল (৪৫) খুন হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৬
Share:

সাক্ষাৎ: আদালতে। নিজস্ব চিত্র

জমি সংক্রান্ত বিবাদে ১৭ বছর আগে দুই ভাইকে খুনের ঘটনায় ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা শোনাল রামপুরহাটের দ্রুত নিষ্পত্তি সম্পন্ন আদালত। সরকারি আইনজীবী দেবপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানান, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বুদ্ধদেব মণ্ডল, মরু মণ্ডল, বাবু মণ্ডল— এই তিন জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ৩০২ ধারায় খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা শোনানো হয়েছে। বাকি আট জন কৃষ্ণ মণ্ডল, গোপাল মণ্ডল, সুন্দর মণ্ডল, কালো মণ্ডল, পথিক মণ্ডল, নারায়ণ মন্ডল, ফটিক মণ্ডল, কেষ্ট মণ্ডলদের বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেকের বাড়ি রামপুরহাট থানার বলরামপুর গ্রামে।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী জানান, জায়গা নিয়ে দুই পারিবারের বিবাদে ২০০১ সালের ৩০ জুলাই রামপুরহাট থানার বলরামপুর গ্রামে এক পরিবারের দুই ভাই, রাধাবল্লভ মণ্ডল (৪৯) এবং গোপীবল্লভ মণ্ডল (৪৫) খুন হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় নিহতদের খুড়তুত ভাই কিশোরীমোহন মণ্ডল পুলিশের কাছে প্রতিবেশী আত্মীয় গদাধর মণ্ডল এবং তার দুই ছেলে সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন অভিযোগকারী কিশোরীমোহন মারা যান। সত্যপ্রসন্ন মণ্ডল নামে এক অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকে ফেরার। মামলার মূল অভিযুক্ত গদাধর মণ্ডল বৃহস্পতিবার আদালতে উপযুক্ত প্রমাণ অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান।

জানা গিয়েছে, তিন বছর নিম্ন আদালতে মামলাটি চলে। পরে ২০০৪ সালে নিম্ন আদালত থেকে দায়রা আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়। দীর্ঘ দিন মামলা চলার পরে শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনিরুদ্ধ মাইতির এজলাসে মামলার রায় দানের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, এক অভিযুক্তের নাবালকত্ব নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠলে বিচারক রায় দান স্থগিত রেখেছিলেন।

Advertisement

সোমবার সেই মামলারই রায় শোনান বিচারক। এ দিকে, বহু পুরনো মামলার রায় শোনার জন্য সকাল থেকেই রামপুরহাট আদালতে ভিড় ছিল। আদালত চত্বরে ভিড় জমান বলরামপুর সহ রানীনগর, নয়াগ্রাম এই সমস্ত জায়গার বাসিন্দারা। মামলায় বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত গদাধর মণ্ডলের দুই ছেলে পথিক মণ্ডল এবং বাবু মণ্ডলদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ দিন রায় শুনতে এসেছিলেন গদাধর মণ্ডল। তিনি জানালেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাবেন। অন্য দিকে, আদালতের রায়ে খুশি মামলার বাদী পক্ষের আত্মীয়, পরিজনরা। তাঁরা বলছেন, ‘‘এত দিনে বিচার পেলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন