দীর্ঘ টালবাহানার পরে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে বীরভূম জেলাশাসকের কার্যালয়ের চার অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করল রাজ্য। ১৫ মে থেকে সেই নিয়োগ কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের বিচারপতি নিশীথা মাত্রে ও বিচারপতি রাজেশ তিওয়ারির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শুক্রবার রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ওই কর্মীরা স্থায়ী হওয়ার যোগ্য কি না। সেই মতো এ দিন হলফনামা জমা পড়ে বলে খবর। বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে জেলাশাসকের দফতরে কয়েক দফায় ২৬ জন অস্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। ১৯৯৬ সালে রাজ্য সরকার তাঁদের স্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কর্মীদের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বনাথ সিংহ, সহদেব দাস, বামদেব মাল ও প্রদীপ বিত্তা নামে চার অস্থায়ী কর্মী কলকাতা হাইকোর্ট মামলা করেন। তাঁদের আইজীবীরা জানান, ২০০৫ সালে বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি তপন দত্ত-র ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে ওই কর্মীদের স্থায়ী করার নির্দেশ দেন। তাতেও স্থায়ী চাকরি না মেলায় বিচারপতি মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন কর্মীরা। ১১ মার্চ ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র এবং রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব মনোজ পন্থ প্রতিশ্রুতি দেন, ওই কর্মীদের স্থায়ী চাকরি দেওয়া হবে। আইনজীবীরা জানান, তাতেও স্থায়ী নিয়োগ না হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, দফতরের যুগ্ম সচিবকে আদালতে হাজির হতে। সেই প্রেক্ষিতেই শুক্রবারের ওই নির্দেশ।