আগুন বড়জোড়ার কারখানায়।
আগুনে ভস্মীভুত হয়ে গেল কারখানার দু’টি ইউনিটের ট্রান্সফর্মার।
রবিবার বড়জোড়ার ঘুটগোড়িয়া শিল্পাঞ্চলের একটি ফেরোঅ্যালয় কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের জেরে হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে এই ঘটনার জেরে কারখানার দু’টি ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে কারখানার তিন নম্বর ইউনিটের ট্রান্সফর্মারে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। ওই ইউনিটটি গত কয়েক মাস ধরেই বন্ধ ছিল। ইউনিটে মেরামতির কাজ চলছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই ইউনিটটি চালু করার কথা ছিল। ট্রান্সফর্মারে আগুনের ফুলকি দেখেই শ্রমিকেরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানান। কিছু শ্রমিক কারখানায় মজুত বালি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। উল্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই ইউনিটের লাগোয়া চার নম্বর ইউনিটের ট্রান্সফর্মারেও। দু’টি ট্রান্সর্ফমারেই ছিল দাহ্য তেল। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। ট্রান্সফর্মার দু’টি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে।
বেগতিক দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুর্গাপুরের দমকম বিভাগকে খবর দেয়। খবর দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু জল দিয়েও আগুন আয়ত্তে আনা যায়নি। শেষে কয়েক ঘণ্টাার চেষ্টায় ফোম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। ততক্ষণে দু’টি ট্রান্সফর্মারই পুড়ে গিয়েছে।
কারখানার জেলারেল ম্যানেজার এন শ্রীনিবাসন দাবি করেন, “প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের। তার উপরে দু’টি ইউনিটই বন্ধ হয়ে পড়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে কোনও শ্রমিক জখম হননি।” ওই কারখানার শ্রমিক-কর্মী ভোম্বল নন্দী, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক গুড়িয়া, অনুপ দাস বলেন, “কাজ করতে করতে হঠাৎই আগুন দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। নিজেরাই চেষ্টা করেছিলাম নেভানোর। কিন্তু পারিনি।” ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কারখানায় যান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বাসিন্দা সুখেন বিদ, বড়জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলোক মুখোপাধ্যায়। সুখেনবাবু বলেন, “এই কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। আমরা চাই দ্রুত এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে পুরোদমে কারখানা চালু করা হোক। এ বিষয়ে আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।”