গণধর্ষণের নালিশ, ধৃত প্রেমিক-সহ ৫

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজারের পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বাড়ি বছর চোদ্দোর নাবালিকার। বাবা-মা ও এবং তিন ভাইবোনের সঙ্গে সে থাকে। মঙ্গলবার তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তার প্রেমিক ও সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও তা জানাজানি হয়েছে শুক্রবার। এ দিন দুপুরে নাবালিকার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের পরে অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার চার সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিত নাবালিকা আপাতত সিউড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা হয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজারের পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বাড়ি বছর চোদ্দোর নাবালিকার। বাবা-মা ও এবং তিন ভাইবোনের সঙ্গে সে থাকে। মঙ্গলবার তার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগেই কাজে লাগায় প্রেমিক ও সঙ্গীরা বলে পরিবারের দাবি। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ভাইবোনেরা ঘুমিয়ে পড়লে ফোনে নাবালিকাকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত। বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নির্জন জায়গায় গিয়ে ধর্ষণ করে পাঁচ জন। সেই সময় বাবাকে একবার ফোন করে নাবালিকা জানায় ৫-৬ জন মিলে মারছে। তার পরেই ফোন বন্ধ হয়ে যায়।

তিন দিন পরে অভিযোগ কেন? নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সারারাত মেয়েকে খুঁজে পাইনি। বুধবার রাতে অভিযুক্তেরা মেয়েকে গ্রামের নলকূপের সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়। মেয়ে এতই ভয়ে ছিল, সব কথা খুলে বলতে পারেনি। কয়েক ঘণ্টা পরে সব জানায়।’’ তিনি জানান, সব শোনার পরে রামপুরহাটের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে শরীর আরও খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সিউড়ি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে শুক্রবার পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। আজ, শনিবার ধৃতদের পকসো আদালতে তোলা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন