Elephants

বাড়ির পাশের জঙ্গলে ঠাঁই নিয়েছে হাতির পাল, আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে বন দফতরের

৪৫টি হাতি রয়েছে পাবয়ার জঙ্গলে। বনকর্মীদের মতে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ায় দলটি ক্লান্ত। ৪৫টি হাতির মধ্যে কয়েকটি শাবকও রয়েছে। ফলে ওই দলটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে বন দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:১৯
Share:

জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে ৪৫টি হাতির একটি দল। — নিজস্ব চিত্র।

দফায় দফায় হাতির দল ঢুকেছে জঙ্গলে। সব মিলিয়ে হাতির সংখ্যা ৪৫। তাতে চিন্তায় বাঁকুড়ার বন দফতরের আধিকারিকরা। পুজোর মুখে বন দফতরের একমাত্র লক্ষ্য, যে কোনও উপায়ে হাতির দলকে জঙ্গলে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যেই হাতির পালের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বাঁকুড়া উত্তরের বনবিভাগ।

Advertisement

বাঁকুড়ায় হাতির পালের আসা নতুন কিছু নয়। মাঝে দু’একবছর বাদ দিলে নিয়মিত হাতির দল হানা দেয় বাঁকুড়া জেলায়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সপ্তাহ দুই আগে থেকে দফায় দফায় পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা টপকে হাতির দল হাজির হয় বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনাঞ্চলে। সেখান থেকে খাবারের খোঁজে দ্বারকেশ্বর নদ টপকে হাতির দলগুলি সোনামুখী, বেলিয়াতোড় হয়ে পৌঁছেছে বড়জোড়া রেঞ্জের পাবয়ার জঙ্গলে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ৪৫টি হাতি রয়েছে পাবয়ার জঙ্গলে। বনকর্মীদের মতে, দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ায় হাতির দল ক্লান্ত। তার উপর ৪৫টি হাতির মধ্যে কয়েকটি শাবকও রয়েছে। ফলে ওই দলটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে বন দফতর। কিন্তু তৈরি হয়েছে নতুন চিন্তাও। এমনিতে পাবয়ার জঙ্গল খুব একটা বড় এলাকা নয়। স্বাভাবিক ভাবেই একসঙ্গে ৪৫টি হাতির খাবার ওই জঙ্গলে না মিললে হাতির আশপাশের পাবয়া, ডাকাইসিনি, কালপাইনি-সহ বিভিন্ন গ্রামে হানা দিতে পারে। তা ছাড়া পাবয়ার জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে হাতি দামোদর টপকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও ঢুকে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আরও বাড়তে পারে বিপত্তি।

হাতি আটকাতে বন দফতরের হাতিয়ার এলিফ্যান্ট প্রুফ ট্রেঞ্চ এবং বিশেষ ধরনের বিদ্যুৎবাহী তারের বেড়া। হাতির দল যেন সেই ‘ঢাল’ এড়াতে না পারে, সে দিকেই নজর রয়েছে বন দফতরের। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘‘আমাদের বন কর্মীরা প্রতি দিন ২৪ ঘন্টা ধরে নজরদারি চালাচ্ছেন। আমাদের প্রথম লক্ষ্য জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে সম্পত্তিহানি এবং প্রাণহানি ঠেকানো। এখনই হাতিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে কোনও চিন্তাভাবনা বন দফতরের নেই। আমরা শুধু দলটির গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন