পুস্তিকা ছাপিয়ে পর্যটনে নজর বন দফতরের

রাজনগরে হুল দিবসের দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে মঞ্চ-ঘেঁষে আদিবাসী জনজাতিদের কাজ লাগবে এমন বেশ কয়েক’টি সরকারি দফতর স্টল বসিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখানেই দেখা মিলল ওই দুটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা বা ইস্তেহারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনগর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৮:২০
Share:

আমখই ‘উড ফসিল পার্ক’। ফাইল চিত্র।

পাখি শিকার ও জঙ্গলে আগুন লাগানো রুখতে লিফলেট ছাপিয়ে আগেও প্রচার করেছে বন দফতর। এ বার ওই লিফিলেটের সঙ্গে পুস্তিকা ছাপিয়ে বল্লভপুর অভয়ারণ্য ও আমখই ‘উড ফসিল পার্ক’কে জনপ্রিয় করতে উদ্যোগী হল বন দফতর।

Advertisement

রাজনগরে হুল দিবসের দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে মঞ্চ-ঘেঁষে আদিবাসী জনজাতিদের কাজ লাগবে এমন বেশ কয়েক’টি সরকারি দফতর স্টল বসিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেখানেই দেখা মিলল ওই দুটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা বা ইস্তেহারের। এটা বন দফতরের বীরভূম ডিভিশনের নিজস্ব উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা।

দফতর সূত্রের খবর, হাতের নাগালে থাকা দুটি ‘ট্যুরিস্ট স্পট’কে মানুষের সামনে আরও আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরার উদ্দেশ্যও রয়েছে। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মার্চে পুস্তিকার কিছু কপি ছাপানো হলেও এ বার থেকে জেলা ও জেলার বাইরে যে কোনও অনুষ্ঠান যেখানে জেলা বন দফতরের স্টল করার সুযোগ থাকবে, সেখানেই আগ্রহী মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে রঙিন মলাটের ওই ক্ষুদ্র পুস্তিকা। তাতে ওই দু’টি জায়গায় ঘুরতে যাওয়া নিয়েও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে, তেমনই জায়গা দুটি দেখতে আগ্রহী হবেন মানুষ।

Advertisement

জেলা বন দফতর জানিয়েছে, ২.০২১ বর্গ কিমি জুড়ে বোলপুরের বল্লভপুর অভয়ারণ্য ১৯৭৭ সালে তৈরি। অনেকই জানেন সেখানে হরিণ আছে। কিন্তু, বহু লোক জানেন না শিয়াল, বনবিড়াল, সজারু, গন্ধ গকুল রয়েছে। বছরের প্রায় সব সময় দেখা মিলবে ৬০ প্রজাতির পাখির। শীতকালে পরিযায়ীদের আগমনে সংখ্যাটা আরও বাড়ে। এর পরেও দফতর নানা ব্যবস্থা করছে। একই ভাবে দফতরের স্বপ্নের প্রকল্প রাজ্যের প্রথম গড়ে ওঠা উড ফসিল কাষ্ঠ জীবাশ্ম পার্কটি। বোলপুর রেঞ্জের ইলামবাজার বিটের আমখই গ্রামের মানুষের জলকষ্ট মেটাতে একটি পুকুর কাটতে গিয়ে প্রস্তরীভূত অরণ্যের হদিস মেলে। সেটাকেই ঢেলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে এলে উপকৃত হবেন ভূতাত্ত্বিক, পরিবেশবিদ, গবেষক এবং পড়ুয়ারা। মনোরম পরিবেশে ওই পার্কটিকে ভাল লাগবে সাধারণ মানুষেরও।
শান্তিনিকেতন থেকে মাত্র সাত কিমি দূরে একেবারে ভিন্ন স্বাদের এই পর্যটন কেন্দ্রকে জনপ্রিয় করতে হলে প্রচার চাই। তাই এই উদ্যোগ।

হুল দিবেসের অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের কাছে পৌঁছেছে ওই পুস্তিকা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পুস্তিকা ইংরেজিতে লেখা। অনেকেই মনে করছেন, তা বাংলাতেও লেখা হলে ভাল হত। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বীরভূমের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার হরিকৃষ্ণণ। ডিএফও বলছেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভেবেছি। খুব শীঘ্রই ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাতেও ছাপানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন