হাতিদের ঝাড়খণ্ডে পার করে স্বস্তিতে বনকর্মীরা

শুক্রবার রাতে দলটিকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে পার করে স্বস্তি পেলেন বনকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বান্দোয়ান শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০১
Share:

ক্ষতি: বাঁধাকপির খেত তছনছ করে গিয়েছে হাতি। বান্দোয়ানের লেদাশাল গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র।

বন দফতরের ঘুম কেড়ে নিয়ে টানা দু’দিন বান্দোয়ানের বনাঞ্চলে ২৬টি হাতি ঘোরাফেরা করছিল। শুক্রবার রাতে দলটিকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে পার করে স্বস্তি পেলেন বনকর্মীরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে লাগোয়া বাঁকুড়ার বনাঞ্চল থেকে ৪টি শিশু-সহ ২৬টি হাতি বান্দোয়ানে ঢুকে পড়ে। সন্ধ্যা থেকে তাদের তাড়িয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের সীমানায় গিয়েও আবার ফিরে আসে দলটি।

শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় আর এক দফা চেষ্টা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ হাতিগুলি ঝাড়খণ্ডের বনে ঢুকে পড়ে। তার পরেও ভোর পর্যন্ত সীমানা এলাকায় ছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁদের দাবি, দলটি ঝাড়খণ্ড বনের অন্তত দশ কিলোমিটার ভিতরে পৌঁছে গিয়েছে জানার পরেই ফিরেছেন।

Advertisement

বান্দোয়ানের যমুনা রেঞ্জ আধিকারিক হীরক সিংহ বলেন, ‘‘শুক্রবার সারাদিন দলটি লেদাশাল গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ছিল। মানবাজার ২, বান্দোয়ান ১, বান্দোয়ান ২ আর কুচিয়া— এই চারটি রেঞ্জের কর্মী ছাড়াও হাতি তাড়াতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নেওয়া হয়। দলে প্রায় একশো জন ছিলেন।’’

তিনি জানান, ২৬টি হাতি অনেকটা জায়গা জুড়ে ঘোরাফেরা করছিল। ক্ষতিও করেছে। লেদাশাল গ্রামের তারাপদ মুর্মু বলেন, ‘‘দূর থেকে দেখেছি দলটা আমার জমি দিয়ে আনাজ মাড়িয়ে চলে গেল।’’ লাগোয়া লোটোঝর্না গ্রামের কালীপদ হেমব্রম বলেন, ‘‘ঝাড়ব বলে পালুই করে ধান রেখেছিলাম। হাতি তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে।’’

বন দফতরের এক কর্মী দাবি করেছেন, লেদাশাল গ্রামে হাতির দল ঝুপড়ি ভেঙে ড্রামে রাখা চোলাই খেয়ে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পথে এক জনের ঘরে খেজুর রসে ভরা হাঁড়ি ছিল। রস খেয়ে নিয়ে এনামেলের হাঁড়ি পা দিয়ে তুবড়ে চলে গিয়েছে হাতি। এই সমস্ত কাণ্ডের পরে শনিবার দুপুরে বান্দোয়ান বন দফতরের অফিসে ছিল স্বস্তির ছবি। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, এ বার আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন