নারদ এবং সারদা কাণ্ডে অভিযুক্তদের পদত্যাগ ও গ্রেফতার করার দাবিতে দুই জেলায় মঙ্গলবার আইন অমান্য করল ফরওয়ার্ড ব্লক।
দলের নেতা কর্মীরা এ দিন পুরুলিয়া শহরের জুবিলি ময়দান থেকে সাহেব বাঁধ রোড, ট্যাক্সি স্ট্যান্ড হয়ে মিছিল করে জেলাশাসকের অফিসে পৌঁছন। সেখানে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করা হয়। শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় বিভিন্ন থানা থেকে ওসি ও সিআইদের শহরের আনা হয়েছিল। জেলাশাসকের দফতরের সামনের রাস্তায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে কর্মসূচী ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
ফব-র জেলা সম্পাদক নরহরি মাহাতো বলেন, ‘‘নারদ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। একজন বাদে সবাই শাসক দলের প্রথম সারির নেতামন্ত্রী। স্টিং অপারেশনে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে অভিযুক্তেরা টাকা নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ সব দেখছে, শুধু শাসকদলই শুধু দেখতে পাচ্ছে না।’’ অভিযুক্তদের সবাইকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানান তাঁরা।
এ দিন জেলায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে ফব। নরহরিবাবু বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে কি না জেলার সমস্ত মানুষ তা জানতে চান। আর উপযুক্ত তদন্ত না হলে সেই সত্যটা সামনে আসবে না। তাই আমরা এই নিয়োগের সিবিআই তদন্ত দাবি করছি।’’
নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার কেরানিবাঁধেও আইন অমান্য ও পথ অবরোধ করেন ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মীরা। ওই ঘটনায় বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজট হয়। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। এ দিন সকালে ফব-র শতাধিক কর্মী কেরানিবাঁধ মোড়ে জড়ো হন। উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা চেয়ারম্যান তারাপদ চক্রবর্তী, ডেপুটি চেয়ারম্যান মানিক মুখোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অনাথ মল্ল প্রমুখ।
নারদ কাণ্ড নিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি-ও। মঙ্গলবার বিকেলে বাঁকুড়ার ভৈরভস্থান মোড়ে নারদকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারির দাবিতে পথসভা করে বিজেপি।
অন্যদিকে দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে বড়জোড়াতে মিছিল করে পথসভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়।