—প্রতীকী ছবি।
বাঁকুড়ার উত্তর বন বিভাগের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতেও হামলা চালাচ্ছে হাতি। এর জেরে চাষের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। বড়জোড়া, বেলিয়াতোড় ও গঙ্গাজলঘাটি থানার বিভিন্ন গ্রামে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বড়জোড়ার ভুষতোড়া গ্রামে সোম ও মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি হাতি ঢোকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার একটি হাতি ঢুকে জমির ফসল নষ্ট করে। মঙ্গলবার অন্তত ২০টি হাতি জঙ্গল থেকে এলাকায় আসে। ওই গ্রামের বাসিন্দা সুবর্ণ আকুলি, সন্দীপ আকুলি, নরেশ আকুলিরা বলেন, “আমাদের আলু খেত পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতি। প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়লাম। অবিলম্বে গ্রামের চাষ জমিতে যাতে হাতি না ঢোকে, দফতর তার ব্যবস্থা করুক।”
মঙ্গলবার রাতে গঙ্গাজলঘাটির গোপীনাথপুরে একটি হাতি ঢুকে চাষজমি নষ্ট করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রজিৎ লায়েকের দাবি, “আমার বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মজুত থাকা ধান খেয়ে ও ছড়িয়ে নষ্ট করেছে হাতি। খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”
বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বিষ্ণুপুর পাঞ্চেৎ বনবিভাগ থেকে আসা হাতির দলটি সোনামুখী পার করে বেলিয়াতোড় হয়ে বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। গত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বেলিয়াতোড় রেঞ্জে প্রায় তিন লক্ষ, বড়জোড়া রেঞ্জে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ও গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে দাবি বনকর্তাদের।
বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার বিশ্বজিৎ মাল বলেন, “বড়জোড়া রেঞ্জের জঙ্গলে এখন প্রায় ৪০টি দল হাতি রয়েছে। ওই হাতিগুলি প্রায়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আশপাশের চাষজমির ক্ষতি করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। হাতির দলের গতিবিধির উপরেও আমরা নজর রাখছি।” গঙ্গাজলঘাটির রেঞ্জ অফিসার জয়নারায়ণ মণ্ডল জানান, বিক্ষিপ্ত ভাবে গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গলে চারটি হাতি রয়েছে। গোপীনাথপুর গ্রামে একটি স্থানীয় হাতিই ঢুকে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি করে। নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।