পথে জঞ্জাল, পাশ কাটিয়ে প্রচার-মিছিল

ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা লাগোয়া কেরানিবাজার এলাকার। শুক্রবার সকালে শহরে ওই পদযাত্রার আয়োজন করেছিল পুরসভা। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা, জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উপ-পুরপ্রধান দিলীপ অগ্রবাল প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩০
Share:

নাকের-ডগায়: রাস্তার পাশে জঞ্জালের স্তূপ। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের কেরানিবাজারে। (ইনসেটে) প্রচার মিছিল। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

রাস্তার পাশে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। পাশ কাটিয়ে প্লাস্টিক-থার্মোকল ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারে হেঁটে গেলেন খোদ জেলাশাসক। হাঁটলেন বিধায়ক। হাঁটলেন পুরসভার কর্তারা। আর প্রশ্ন তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা, ‘‘এটা কেমন হল?’’

Advertisement

ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা লাগোয়া কেরানিবাজার এলাকার। শুক্রবার সকালে শহরে ওই পদযাত্রার আয়োজন করেছিল পুরসভা। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক শম্পা দরিপা, জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, উপ-পুরপ্রধান দিলীপ অগ্রবাল প্রমুখ। কেরানিবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে জমে ছিল আবর্জনার স্তূপ। এলাকা পার হওয়ার সময়ে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েন সবাই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই আবজর্না ডাঁই করে রাখা হচ্ছে কেরানিবাজারের রাস্তার পাশে। পুরপ্রধান মহাপ্রসাদবাবু অবশ্য দাবি করছেন, “শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ময়লা ফেলার স্ট্যাগ পয়েন্টটি বর্তমানে ভাঙা হয়েছে। তাই অস্থায়ী ভাবে এখানে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবর্জনা জমা করে রাখা হয়। প্রতিদিনই সেই আবর্জনা সময় মত তুলে নিয়ে যান পুরসভার সাফাইকর্মীরা।” জেলাশাসকও বলেন, “ওই এলাকার আবর্জনা নিয়মিতই সাফাই করে পুরসভা।”

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করছেন, এলাকায় ময়লা জমা করা বন্ধ হোক। পুরপ্রধানের আশ্বাস, “ওই এলাকায় ময়লা আর ফেলা হবে না। তার বদলে ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের ময়লা সরাসরি গন্ধেশ্বরী সংলগ্ন স্ট্যাগ পয়েন্টে নিয়ে গিয়ে ফেলা হবে।”

আগামী ডিসেম্বর থেকেই জেলায় প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।

দিলীপবাবু জানান, শহরের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ক্লাব ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রচারের কাজে এগিয়ে আসতে চেয়েছে। পথনাটিকা-সহ বিভিন্ন ভাবে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে। মহাপ্রসাদবাবু বলেন, “ওই সংগঠন ও ক্লাবগুলিকে দিয়ে আমরা বাড়ি বাড়ি নির্মল বাংলা প্রকল্পের প্রচারও চালাব।”

যদিও বাঁকুড়া পুর-এলাকায় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের শ্লথ গতি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পরিবারে নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বছরখানেক আগেই এই প্রকল্প শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত সাকুল্যে হাজার দেড়েক বাড়িতে শৌচাগার গড়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্য অবশ্য শহরে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে ওঠা বস্তি এলাকাগুলিকেই দায়ী করছেন পুরকর্তারা।

আগামী মার্চের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন বলে দাবি পুরকর্তাদের। বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “বাঁকুড়া শহরে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রশাসনও পুরসভাকে সাহায্য করবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন