স্টপেজের আশ্বাস দিয়ে ফিরলেন রেলের জিএম

পূর্ব ঘোষিত সূচি মেনে বুধবার পূর্ব রেলের জেলারেল ম্যানেজার ঘনশ্যাম সিংহ অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার কয়েকটি স্টেশন পরিদর্শন করলেন। সিউড়ি এবং দুবরাজপুর— এই স্টেশন দুটি স্টেশন নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কিছু দাবি জানান রেল কর্তার কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া ও সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০১
Share:

সাঁইথিয়ায় পুরকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম। নিজস্ব চিত্র।

পূর্ব ঘোষিত সূচি মেনে বুধবার পূর্ব রেলের জেলারেল ম্যানেজার ঘনশ্যাম সিংহ অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার কয়েকটি স্টেশন পরিদর্শন করলেন। সিউড়ি এবং দুবরাজপুর— এই স্টেশন দুটি স্টেশন নিয়ে এলাকাবাসী বেশ কিছু দাবি জানান রেল কর্তার কাছে। রেল কর্তা বলেন, ভাগলপুর রাঁচি বনাঞ্চল ও মালদা দিঘা এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুটির দুবরাজপুরে স্টপেজ দেওয়া যেতে পারে। এ দিন তিনি সাঁইথিয়াতেও বেশ কয়েকটি ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করবেন বলে জানান।

Advertisement

স্টেশনের পরিকাঠামো, রেলের ট্রাক, সিগনালিং ব্যবস্থা, যাত্রী সুরক্ষার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার জন্য রুটিন পরিদর্শনে রেল কর্তা আসছেন এই খবর আগে থেকেই ছিল এলাকার মানুষের কাছে। সেই সুযোগে রেলকর্তার কাছে স্থানীয় দাবিগুলি যদি আদায় করা যায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল সিউড়ি ও দুবরাজপুরের নাগারিক সমিতি। সিউড়িতে নাগরিক সমিতির পাশাপাশি ছিল ব্যবসায়ী সমিতি। আর ছিলেন দুবরাজপুরে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দুবরাজপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান।

সিউড়ির নাগারিক সমিতি ও ব্যবসায়ী সমিতির দাবি জেলা সদরশহর, যেন দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এখানে স্টপেজ দেয়। সঙ্গে ছিল হাওড়াগামী মযূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের সংরক্ষিত ও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা যোগ করার দাবি। এবং আরও সকালে কলকাতা পৌঁছনোর জন্য একটি ট্রেন। রেল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ট্রেনে কামড়াতে বসেই রেলের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন জিএম। সূত্রের খবর, জিএমকে তাঁর চেয়ারে বসিয়ে এসএস পুলক রায়ও সেতু সম্প্রসারণের জন্য বলেন। বুধবার সকালে সাঁইথিয়া স্টেশন ভিজিট করে সকাল প্রায় দশটা নাগাদ সিউড়ি স্টেশনে পৌঁছন ডিএম। সঙ্গে ছিল রেলের সব বিভাগের পদস্থ কর্তারা। স্টেশনের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার পরে তিনি কথা বলেন নাগরিক সমিতির বরুন দাস, জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে কিসান পাল ও নজরুল ইসলামের সঙ্গে। সিউড়ি থেকে বেলা দশটা চল্লিশে বেরিয়ে পথে চিনপাই স্টেশন ভিজিট করে দুবরাজপুর স্টেশনে যখন জিএম আসেন ঘড়িতে তখন বারোটা।

Advertisement

অপেক্ষা করছিলেন নাগরিক সমিতির শামাপ্রসাদ মিশ্র, কিশোর অগ্রবাল-সহ জনা কুড়ি সদস্য এবং দুবরাজপুরের উপ পুরপ্রধান মির্জা সৌকত আলি এবং ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সত্যপ্রকাশ তিওয়ারিরা। রেল কর্তার কাছে সিউড়ির দাবির সঙ্গে দুবরাজপুরের দাবি মোটামুটি এক। তফাৎ বলতে ছিল ভাগলপুর রাঁচি বনাঞ্চল ও মালদা দিঘা এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির স্টপেজ। যেটা বহুবছর ধরে রেল কর্তাদের কাছে জানানো হচ্ছে। ঘনশ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ভাগলপুর রাঁচি বনাঞ্চল ও মালদা দিঘা এক্সপ্রেস এই ট্রেন দুটির স্টপেজ এখানে দেওয়া যেতেই পারে। আর ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিতে কামরা যোগ করার ও সকালে হাওড়া যাওয়ার দাবি সিউড়ি থেকেও উঠেছে আমারা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ সিউড়িতে সংবাদমাধ্যম জিএমের কাছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই সিউড়ি থেকে মালগাড়িতে লোড করার সময় দূষণ ছাড়াচ্ছে এটা নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে, জিএম বিষয়টি নিয়ে তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বালার আশ্বাস দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন