রাজভবনের মূল ফটক হবে রবীন্দ্রনাথের নামে, সেই ফলক হাতে রাজ্যপাল এবং বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে তিনি কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতন পৌঁছন। তার পর ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়। বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন তিনি। কথা বলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন বিতর্কিত ফলক যেখানে বসানো হয়েছিল, সেই জায়গাও।
পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের সৃজনী শিল্পগ্রামে একটি মিলনোৎসবে অংশ নিতে শান্তিনিকেতনে আগমন রাজ্যপালের। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নেমে তিনি চলে যান রবীন্দ্র অতিথিগৃহে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরিয়ে দেখান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। ইউনেস্কোর তরফ থেকে শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা প্রদানের পর যে স্থানে বিতর্কিত ফলক বসেছিল পূর্বতন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে, সেই স্থানও ঘুরিয়ে দেখানো হয় সিভি আনন্দ বোসকে। এই মুহূর্তে যদিও সেই বিতর্কিত ফলকের কোনও চিহ্নই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে নেই। তার জায়গায় বসেছে নতুন ফলক। ঘটনাচক্রে, সেই ফলকের সামনে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। আগাগোড়া তাঁর পাশেই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রবীন্দ্রসৃষ্ট বিশ্বভারতী বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা পেয়েছে। এখানেই থামলে চলবে না। কবিগুরুর আদর্শকে পাথেয় করে আরও এগিয়ে যেতে হবে।’’ রবীন্দ্রনাথকে শুধু ভারতেরই নয়, গোটা পৃথিবীর গর্ব হিসাবে অভিহিত করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, বিশ্বকবিকে সম্মান জানাতে কলকাতার রাজভবনের মূল ফটকটির নামকরণ করা হবে রবীন্দ্রনাথের নামে। সেই উপলক্ষে যে শ্বেতপাথরের ফলকটি বসবে, সেটিও কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল। সেই ফলক নিয়েই রাজ্যপাল রবীন্দ্রস্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনের প্রার্থনাগৃহ, গৌর প্রাঙ্গণ, ছাতিমতলা পরিদর্শন করেন।