SEAL

বাঁকুড়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের হানা, নথি না মেলায় সিল রেকর্ড রুম

বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে হানা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি তদন্তকারী দল। দলটি বুধবার ওই হাসপাতালে হানা দিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৯
Share:

রেকর্ড রুম সিল করে দেয় বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। —নিজস্ব চিত্র।

আর্থিক বেনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে হানা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি তদন্তকারী দল। দলটি বুধবার ওই হাসপাতালে হানা দিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখে। পরে হাসপাতালের নথিপত্র রাখার রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দেয় ওই তদন্তকারী দলটি। নির্দেশ মিলতেই ওই রেকর্ড রুম সিল করে দেয় বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

বাঁকুড়ার বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বার বার সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে। এ বার সেই হাসপাতালেই বেনিয়মের অভিযোগে তদন্তে নামল খোদ স্বাস্থ্য দফতরের রাজ্যের তদন্তকারী দল। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি তদন্তকারী দলটি হাসপাতালের রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্য দফতরে। ঠিক কী কারণে ওই রেকর্ড রুম সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা, তা স্পষ্ট নয়। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, ‘‘হাসপাতালে ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য থেকে বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দ আসে। সেই অর্থ কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, তার হিসাব দিতে হয় প্রতিষ্ঠানকে। সেই হিসাব সংক্রান্ত কিছু নথি পাওয়া যায়নি। সে কারণেই ওই রেকর্ড রুম সিল করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা।’’

বিজেপি অবশ্য এই ঘটনাকে তাঁদের অভিযোগে সিলমোহর বলেই দাবি করেছে। বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা গোবিন্দ ঘোষ বলেন, ‘‘বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে দুর্নীতি নতুন নয়। ২০১৪ সালে এই হাসপাতাল তৈরির পর থেকেই ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে থাকা তৃণমূল নেতৃত্বের মদতেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বার বার সেই অভিযোগ জানিয়েছি। আজকের ঘটনা তারই প্রমাণ।’’

Advertisement

বড়জোড়ার বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির দীর্ঘদিনের পদাধিকারী অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি। ঘটনার কথা বিশদে জানা নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব ব্যাপার। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement