বৃষ্টিতে জলমগ্ন নানুরের গ্রাম

প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নানুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। উচকরন, নওদা, পালুন্দি, সাকুলিপুর প্রভৃতি এলাকায় টানা বর্ষণে প্রচুর মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাকুলিপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় শতাধিক বাড়ি সম্পূর্ণ কিম্বা আংশিক ক্ষতির কবলে পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর ও বোলপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

নানুরের সাকুলিপুর গ্রামে ঘরের ভিতরে হাঁটুজল। শনিবার ছবিটি তুলেছেন সোমনাথ মুস্তাফি।

প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নানুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। উচকরন, নওদা, পালুন্দি, সাকুলিপুর প্রভৃতি এলাকায় টানা বর্ষণে প্রচুর মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাকুলিপুর এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রায় শতাধিক বাড়ি সম্পূর্ণ কিম্বা আংশিক ক্ষতির কবলে পড়েছে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে আরও শতাধিক বাড়ির। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যাবস্থার অভাবেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও, সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।

Advertisement

নানুরের বিডিও মৃণাল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘নানুর এলাকার কম বেশি অধিকাংশ গ্রাম বৃষ্টি জনিত কারণে ক্ষতির কবলে পড়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী প্রায় পঞ্চাশটি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে আরও বেশ কিছু বাড়ির। সব থকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাকুলিপুর। ওই এলাকাটি একেই নিচু। তার উপর একটি ছোট সেতুর মধ্যে দিয়ে জল বেরিয়ে যায়। ওই সেতু চওড়া করার জন্য পূর্ত (সড়ক) দফতরকে জানিয়েছি।’’

অন্যদিকে লাভপুরের লাঙ্গলহাটা বিল সন্নিহিত এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম ক্ষতির কবলে পড়েছে। থিবা, কাঁদরকুলো, মিরিটি, বলরামপুর, ব্রাহ্মণপাড়া প্রভৃতি এলাকায় কিছু কিছু মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাবেরিকা গুঁই বলেন, ‘‘কিছু মাটির বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও হিসেব জানা যায়নি।’’ অন্যদিকে বোলপুর ব্লকের বাহিরী-পাঁচশোয়া, সাত্তোর এবং রুপপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু মাটির বাড়ি বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে। বোলপুরের বিডিও শমিক পাণিগ্রাহী বলেন, “বোলপুর ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় মোট সাতটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে বলে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এবং বোলপুর ব্লক থেকে তাঁদেরকে ত্রিপল এবং ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন