•শাবক-সহ: আস্থাশোল গ্রামের কাছে চৌবেটা-বকডহরা রাস্তায় হাতির দল। ছবি: শুভ্র মিত্র
পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শাবক-সহ ২২টি হাতি ঢুকে পড়ল বাঁকুড়ায়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পশ্চিম মেদনীপুরের খড়িকাশুলি গ্রামের কাছে হুলা পাটির সঙ্গে লুকোচরি করে জাতীয় সড়ক ৬০ পেরিয়ে হাতিগুলি ঢোকে। বিষ্ণুপুর-পাঞ্চেত ডিভিশনের বাঁকাদহ রেঞ্জের কলাবাগান, ধানশোল, মিতশোল, হুলমারা, বারিশোল হয়ে আমডহরা বিটের মাঝপাড়া গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে ১২টি হাতি। বাঁকাদহ-জয়রামবাটি রাস্তা পেরিয়ে ১০টি হাতি চলে যায় বিষ্ণুপুর রেঞ্জের বাসুদেবপুর বিটের বাগডোবা চুয়াশোল গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে।
পথে যে সমস্ত খেত পড়েছিল সেখানে আলু চাষ হয়েছে। ফলস ইতিমধ্যেই তোলা হয়ে যাওয়ায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কিন্তু আমডহরা বিটের যে এলাকায় হাতিগুলি এখন রয়েছে তার পাশেই মরসুমি সবজি চাষ হয়েছে অনেক জমিতে। ওই গ্রামগুলির দিলীপ মুর্মু,কার্তিক মুর্মু, রতন হেমব্রম, সাজেদ আলি খান, দরবেশ চৌধুরিরা বলেন, ‘‘বেশ কয়েক মাস হাতির পাল না আসায় নিশ্চিন্তে জমির আলু ঘরে তুলেছি। অনেক কষ্টে মরসুমি সবজি ফলিয়েছি মাঠে। বন দফতরের কর্মীরা ভরসা দিলেও খুব চিন্তায় আছি।’’
ডিএফও (বিষ্ণুপুর-পাঞ্চেত) নীলরতন পাণ্ডা বলেন, ‘‘নির্দেশ আছে হাতির পালকে কিছুতেই দ্বারকেশ্বর নদ টপকে সোনামুখীর দিকে যেতে দেওয়া যাবে না। বনকর্মী এবং হুলা পার্টির লোকজন বিশেষ নজর রেখছেন যাতে ফসলের কোনও ক্ষতি না হয়।’’
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।