Hiran Chatterjee

জেলায় এসে মমতা ও কেষ্টকে নিশানা হিরণের

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নানাবিধ কর্মসূচি নিয়েছে। তার অন্যতম এক হাজার মণ্ডল ভিত্তিক সভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৯
Share:

তরোয়াল হাতে। রামপুরহাটে শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল, দু’জনকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে তিনি কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নানাবিধ কর্মসূচি নিয়েছে। তার অন্যতম এক হাজার মণ্ডল ভিত্তিক সভা। শুক্রবার বিকেলে তেমনই একটি জনসভা ছিল দুবরাজপুর ৪ নম্বর মণ্ডল বা শহরের মাদৃকসঙ্ঘ সাংস্কৃতিক ময়দানে। বক্তৃতার শুরুতেই জেলা তৃণমূল সভাপতিকে খোঁচা দিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে হিরণ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘বীরভূমের বাঘ এখন কোথায়?’’ উত্তর আসে তিহাড় জেলে। হিরণ ‘অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী’ বলে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, ‘‘আবাস, শৌচাগার, রাস্তা , রেশন থেকে গরিব কল্যাণ যোজনা যা আপনারা পান, তার ৮০ শতাংশ নরেন্দ্র মোদী সরকার পাঠায়। আর আমাদের অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী সকালে ঘুম থেকে উঠে মিথ্যে নামতা পড়তে পড়তে রাতে ঘুমোতে যান।’’

হিরণের দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এখান থেকে মাইনে নিই না’।সংসার চলে বই বিক্রির টাকায়। আমার জিজ্ঞাসা, ওঁর লেখা একটা বইও কি আপনাদের কারও কাছে আছে। শুনলাম বীরভূমের বাঘ ওঁর লেখা বই মুখস্ত করছে। আর কারও কাছে আছে বলে তো আমি শুনিনি।’’

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘একটা সময় অনেকে রবীন্দ্রনাথকেও মূর্খ বলেছিলেন। এ রকম অর্বাচীন লোক অনেক আছেন। কেউ কেউ অভিনয় করতে করতে রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছেন ।এখন উল্টোপাল্টা কথা বলে বাজার মাত করতে চাইছেন। মানুষ জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে, কী ভাবে রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন।’’

এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা, দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, দলের তিন সাধারণ সম্পাদক, মণ্ডল সভাপতি এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীরা। নরেন্দ্র মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় ফেরানোর বিষয়েই এ দিন প্রচারের সুর বাঁধা ছিল বক্তাদের। সেই সূত্রেই রাজ্যের শাসকদলকে চড়া সুরে আক্রমণও করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে, ধ্রুব ও অনুপ দুবরাজপুর পুর-শহরের ‘অনুন্নয়ন’ নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘গ্রাম থেকে উন্নীত হতে পারেনি এ শহর।’’ শুক্রবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটেও সভা করেন হিরণ। বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তরোয়াল তুলে দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন