রাজ্যের প্রতি ব্লকে আইটিআই তৈরির ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বীরভূমের মুরারই ১ ব্লকে আড়াই বছর আগে একটি আইটিআই-এর শিলান্যাসও হয়। সরকার থেকে তিন একর খাস জায়গা আইটিআই নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণও হয়। পঞ্চায়েত থেকে আইটিআই-এর জন্য বোর্ডও টাঙানো হয়। কিন্তু, আড়াই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত একটি ইটও গাঁথা হয়নি। তবু এলাকাবাসীর আশা, এক দিন আইটিআই হবে। গ্রামের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়বে। পাবে চাকরিও।
কিন্তু, কবে হবে সাধের আইটিআই— সেই প্রশ্নই ঘুরছে এলাকায়। প্রতি ব্লকে একটি করে আইটিআই তৈরি নিয়ে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের বিভিন্ন নেতামন্ত্রীরা। সেই মতো বীরভূমের মুরারই ১ ব্লকে আড়াই বছর আগে ওই আইটিআই-এর শিলান্যাসও হয়। জমি অধিগ্রহণ, তারপর পঞ্চায়েতের বোর্ড টাঙানো। সেই বোর্ড অবশ্য অনেক দিন আগেই ভেঙে গিয়েছে। তৃণমূলের মুরারই ১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ জানান, এলাকায় একটি আইটিআই নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো জায়গা চিহ্নিত করা হয়। আশা করা যায়, এক দিন না এক দিন আইটিআই নির্মাণ হবেই।
একই আশায় রয়েছেন মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মলুদা খাতুন। তাঁদের কথায়, এলাকার ছেলেমেয়েদের আইটিআই প্রশিক্ষণের জন্য সিউড়ি, রামপুরহাট-সহ লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলায় যেতে হয়। ছেলেমেয়েদের থাকা এবং যাতায়াতের খরচ বাবদ অনেক টাকা ব্যয় হয়। সেক্ষেত্রে এলাকায় আইটিআই হলে এলাকাবাসীর সুবিধা হবে। এলাকার বেকার যুবক, যুবতীরা অল্প খরচে এলাকার প্রতিষ্ঠান থেকে হাতেকলমে কাজ শিখতে পারবে। মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান জানান, মুরারই ১ ব্লকে আইটিআই নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি মুরারই ২ ব্লকের কলহপুর ও অমৃতপুর মৌজায় আইটিআই তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।