Employment

সময়ে পৌঁছেও ইন্টারভিউ দিতে না পারায় বিক্ষোভ মেডিক্যালে

ঘটনার নিন্দা করেছে সিপিএম এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০১:১৪
Share:

রামপুরহাট মেডিক্যালে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

নির্ধারিত সময়ে পৌঁছেও ইন্টারভিউ দিতে পারলেন না শতাধিক আবেদনকারী। তাঁদের অভিযোগ, কিছু আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ-এর সুযোগ দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কলেজ ঢোকার মুখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

Advertisement

ঘটনার নিন্দা করেছে সিপিএম এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। তারা বিষয়টিকে চাকুরির নামে প্রহসন বলে দবি করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি-র কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। তাতে নতুন করে ইন্টারভিউ-এর দিনক্ষণ ঘোষণা করে আবেদনকারী ইচ্ছুক প্রার্থীদের ফের ইন্টারভিউ-এর ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল সুজিত দে বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসার জন্য উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসেছিলেন, তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’’

কলেজ সূত্রে জানা যায়, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে দু’মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে তিন জন ল্যাব টেকনিশিয়ান, ২ জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ২ জন মলিকিউলার বায়োলজিস্ট মিলিয়ে মোট সাতটি পোস্টে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের ডাকা হয়েছিল। ল্যাব টেকনিশিয়ান পদের জন্য ৫৬ জন, মলিকিউলার বায়োলজি পদের জন্য ২৪ জন এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ৫০০ জন আবেদন করেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে আবেদনকারীদের রিপোর্টিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে যাঁরা যাঁরা প্রবেশ করেছিলেন তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। প্রিন্সিপালের দাবি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদেই ২৪৯ জনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আবেদনকারীদের অনেকের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছলেও সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের রায়না থেকে আসা ব্রততী যশ বলেন, ‘‘ল্যাবটেকনিশিয়ান পদের জন্য আবেদন করেছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছনোর জন্য বাড়ি থেকে বুধবার রাতে বেরিয়েছিলাম। গাড়ি ভাড়া করে সাড়ে দশটার মধ্যে পৌঁছেও লম্বা লাইনের জন্য ঢুকতে পারলাম না।’’ রামপুরহাট থানার কামাখ্যা গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ মণ্ডল, মল্লারপুর থানার কোট গ্রামের রিপন শেখেরাও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁদের কথায়, ‘‘এখন যাতায়াত এমনিতেই প্রবল সমস্যার। দূর থেকে এসেও আমরা অনেকে ফিরে গেলাম ইন্টারভিউ না দিয়েই।’’

ঘটনায় নিন্দা করে সিপিএমের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি অমিতাভ সিংহ বলেন, ‘‘কতিপয় আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া মানে কারচুপি করা। এটা প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। আমরা তাই নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন