জেলার কন্যাশ্রীদের জন্য বিভিন্ন ব্লকে ভবন তৈরি করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, কন্যাশ্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দরকার। দেশ বিদেশে কোথায় কী ঘটছে, সেটাও জানা দরকার। তাহলেই তারা পারবে নিজেদের এবং চারপাশটা ভাল ভাবে বুঝতে। পায়ের তলায় শক্ত হবে মাটি। আর সেই ভাবনা থেকেই ‘কন্যাশ্রী ভবন’।
ভবন তৈরির পরিকল্পনাটি জেলাশাসক অলকেলপ্রসাদ রায়ের। নামটি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৬ মার্চ জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে জেলাশাসক প্রকল্পের বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে নামকরণের অনুরোধ করেছিলেন। জেলাশাসক জানান, প্রতিটি ব্লক সদরে দোতলা বাড়ি গড়ে তোলা হবে। সেখানে থাকবে গ্রন্থাগার। ই-লার্নিংয়ের সুবিধে। সব মিলিয়ে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের গড়েপিটে নেওয়ার সমস্ত বন্দোবস্ত। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজনও থাকবে।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্লকে কন্যাশ্রীদের মধ্যে একটা সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে অনেক মেয়েই বলেছে, বাইরে গিয়ে ইংরেজিতে কথা বলার সময়ে তাদের মধ্যে জড়তা থেকে যায়। এই ধরনের যে সমস্ত অসুবিধা থাকে, তা কাটাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জয়েন্ট এন্ট্রাস-এর প্রশিক্ষণও মিলবে।’’
আপাতত জঙ্গলমহলের ন’টি ব্লকে কন্যাশ্রী ভবন গড়া হচ্ছে। পরে জেলার বাকি ব্লকগুলিতেও হবে। প্রতিটি ভবন গড়তে বরাদ্দ হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা করে। সেটা আসবে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তহবিল থেকে। মাস ছয়েকের মধ্যে ভবনগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
পুরুলিয়ার জয়পুরের প্রত্যন্ত গ্রাম খেদাটাঁড়। সেখানকার কন্যাশ্রী শীলা বাগদি যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রচারমঞ্চে গিয়েছিল কলম্বো। বলরামপুরের কন্যাশ্রীদের হাতে তৈরি পলাশ, গাঁদার আবির অনেক বাহবা পেয়েছে। পুঞ্চায় কন্যাশ্রীদের যত্নে ফলে ভরে উঠেছে বাগানের আম, লেবু, আতা আর নানা গাছ। মেয়েদের সাবলম্বী করে তুলতে পুরুলিয়া থেকেই শুরু হয়েছে ‘কন্যাশ্রী স্বাবলম্বী’ পাইলট প্রকল্প।
নিজেদের প্রমাণ করেছে ওরা। কন্যাশ্রী ভবন সেই মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার পথের নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা প্রশাসনের।