কেরলের বন্যা-দুর্গতদের পাশে বিশ্বভারতীর ছাত্র-শিক্ষক

কেরলের বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়াল বিশ্বভারতী। কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে, সমস্ত স্থায়ী কর্মী ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের এক দিনের বেতন পাঠানো হবে কেরলের ‘মুখ্যমন্ত্রী বন্যাত্রাণ তহবিল’-এ। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৯
Share:

তহবিল সংগ্রহ। নিজস্ব চিত্র

কেরলের বন্যা-দুর্গতদের পাশে দাঁড়াল বিশ্বভারতী। কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে, সমস্ত স্থায়ী কর্মী ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের এক দিনের বেতন পাঠানো হবে কেরলের ‘মুখ্যমন্ত্রী বন্যাত্রাণ তহবিল’-এ। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। অগস্ট মাসের বেতন থেকে বন্যাত্রাণের টাকা কাটা হবে বলে জানান তিনি। আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকা পাঠানো যাবে বলে আশা রাখছেন সকলে। এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁরাও নিজেদের মধ্যে টাকা তুলে সেটি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

বিশ্বভারতীর কর্মিসভা এবং অধ্যাপকদের যে সমস্ত সংগঠন রয়েছে, প্রত্যেকেই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এর আগেও বিশ্বভারতী এ রকম বিভিন্ন এলাকার বিপর্যয়ে সেখানকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে এ ভাবেই। সেই ছবি দেখা গিয়েছে নেপালের ভূমিকম্পের সময়েও। অধ্যাপকসভার সহ সভাপতি কিশোর ভট্টাচার্য জানান, মানুষের হাহাকারে যতটা সম্ভব পাশে দাঁড়ানো যায়, ততটাই পাশে থাকবেন তাঁরা। কর্মিসভার সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার বলেন, ‘‘এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত রয়েছে আমাদের। প্রত্যেকেরই সাধ্য মতো কেরলের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’’ বিশ্বভারতী ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং সম্পাদক বিকাশ গুপ্তের কথায়, ‘‘আমরা আগেই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলাম। তার মধ্যেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এমন উদ্যোগের কথা জানান। আমরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ওঁনাকে সমর্থন করেছি।’’ এগিয়ে এসেছে বিশ্বভারতীর কিছু পড়ুয়াও। রবিবার বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস ঘুরে তাঁরা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করেন। আজ, সোমবার এবং মঙ্গলবারও একই ভাবে ক্যাম্পাস ঘুরে তাঁরা ত্রাণ সংগ্রহ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিন দিনে যতটুকু ত্রাণ সংগ্রহ হবে সেটি তাঁরা তুলে দেবেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের হাতে। সাধারণ পড়ুয়াদের পক্ষে অচিন্ত্য বাগদি জানান, প্রথম দিনেই ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেরই সাহায্য পেয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন