দাবি নিয়ে রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
৭০ বছর ধরে কেবল দফায় দফায় প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি কিছুই। আদিবাসী তালিকাভুক্ত হননি কুড়মিরা। প্রতিবাদে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল হলেন দেশের নানা প্রান্তের কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা।
সোমবার দিল্লির রামলীলা ছিল কুড়মিদের জমায়েত। এই সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকারও। কিন্তু চার বছরেও রাখা হয়নি সেই প্রতিশ্রুতি। তাই রামলীলা ময়দানের সমাবেশ থেকে ছোটনাগপুর আদিবাসী টোটেমিক সমাজ ডাক দিল অবিলম্বে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার।
স্বাধীনতার পর থেকেই আদিবাসী তালিকাভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে সরব কুড়মিরা। সংগঠনের উপদেষ্টা অমিত মাহাতো বলেন, ‘‘প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ১৩টি পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীকে আদিবাসীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১২টি গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই আদিবাসী মর্যদা পেয়েছেন। একমাত্র কুড়মিরা পাননি। সেই মর্যাদার পাওয়ার দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে।’’ আদিবাসী কুড়মি সমাজের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতোর কথায়, ‘‘আমাদের প্রথম দিনের কর্মসূচি সফল হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা বিনীত ভাবে দাবি জানাতে সংসদের উদ্দেশে হাঁটবেন।’’ বর্তমানে ঝাড়খণ্ড-বিহার-পশ্চিমবঙ্গ-অসম মিলিয়ে প্রায় ৫-৬ কোটি কুড়মি রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে এঁদের সংখ্যা এক কোটির কাছাকাছি। অমিত বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে আমাদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সেখানকার একাধিক আসনে আমরা নির্ণায়ক ভূমিকা নিই।’’ সংগঠনের বক্তব্য, ন্যায্য দাবি মানা না হলে শাসক শিবিরকে পাল্টা ধাক্কা দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন কুড়মিরা সেই বার্তা আজ স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ধর্নামঞ্চ থেকে।