Kurmi Community

জমি দখলে অভিযুক্ত কুড়মি নেতা

অভিযোগ যদিও মানেননি অজিত। তাঁর দাবি, ১৯৯০ সাল থেকে ওই জমিতে রয়েছেন। আগে কার্যালয়টি ছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। পরে তা আদিবাসী কুড়মি সমাজের হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৫৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

জমি দখল করে সেখানে গ্যারাজ ও সাইকেল স্ট্যান্ড চালানোর অভিযোগ উঠল কুড়মি নেতা অজিত মাহাতোর বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুরসভার হস্তক্ষেপ দাবি করে বুধবার পুরুলিয়া পুরসভার সামনে অবস্থানে বসেন অভিযোগকারী, পুরুলিয়া শহরের বিটি সরকার রোডের বাসিন্দা আর্যভট্ট গরাঁই ও তাঁর স্ত্রী।

Advertisement

আর্যভট্টের দাবি, বিটি সরকার রোডের ওই জমিটি তাঁর বাবা ১৯৯৫ সালে কিনেছিলেন। জমি লাগোয়া তাঁদের বাড়িও রয়েছে জানিয়ে আর্যভট্টের অভিযোগ, “অজিত মাহাতো ওই জমি দখল করে কার্যালয় খুলেছেন। পাশাপাশি সেখানে একটি গ্যারাজ ও সাইকেল স্ট্যান্ডও চালাচ্ছেন। আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিলেও তিনি জমি ছাড়ছেন না।”

তাঁর আরও দাবি, ওই জমিতে একটি খাবারের দোকানও রয়েছে। পুরসভা কী ভাবে এ সব চালানোর অনুমতি দিল, তা জানতেই অবস্থানে বসা। ওই জমির জন্য পুরসভাকে তাঁরাই কর দেন জানিয়ে আর্যভট্টের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশের কথা জানিয়ে অজিতবাবুকে বাড়ি খালি করতে বলায় উল্টে হুমকি শুনতে হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগ যদিও মানেননি অজিত। তাঁর দাবি, ১৯৯০ সাল থেকে ওই জমিতে রয়েছেন। আগে কার্যালয়টি ছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। পরে তা আদিবাসী কুড়মি সমাজের হয়। তিনি বলেন, “আগেজমির মালিকানা যাঁর ছিল, তিনি ভাড়ায় গ্যারাজ চালাতে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই গ্যারাজ চলছে। সে সময় থেকে জমির মালিকের অনুমতি নিয়ে এখানে রয়েছি। পরে কে, কাকে জমি বিক্রি করেছেন, জানা নেই।”

তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, অনধিকার ভাবে জমি দখল করলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের বা মামলা হত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও মামলা নেই। ইদানীং অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তাঁর দাবি, জমি হস্তান্তর হয়েছে ১৯৯৫-এ। তার অনেক আগে থেকে তিনি রয়েছেন। তা ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে কেউ কোনও জমিতে টানা ১৩ বছর থাকলে, তাঁকে অধিকার দিতে হবে।

ওই জমিতে কোনও স্ট্যান্ড চলে না জানিয়ে অজিতের দাবি, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিচিত লোকজনেরা শহরে আসেন। তাঁরা মোটরবাইক রাখেন। একটি লোক রয়েছে যে সেগুলি নজর রাখেন। তাঁকে তাঁরা দু-চার টাকা দেন। কোনও ব্যবসা চলে না। পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, “ওই জমিটি বিচারাধীন বিষয়। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সেখানে কোনও ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। যথাস্থানে জানানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন