বিষ্ণুপুরের চিঠি

শিল্পের শহর বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুরের ধ্রুপদ সঙ্গীতের ঘরানা বিশেষ গৌরবের। এ ঘরানার শিল্পীরা ভারতের সর্বত্র গান গেয়ে, বাজনা বাজিয়ে সম্মানিত হচ্ছেন। কিন্তু খোদ বিষ্ণুপুর শহরে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত চর্চার বা পরিবেশনের পরিমণ্ডল ব্যাহত হচ্ছে। এই শহরেই জাতীয় মানের সঙ্গীত শিল্পীরা আছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২১
Share:

অবেহলায় সঙ্গীত

Advertisement

শিল্পের শহর বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুরের ধ্রুপদ সঙ্গীতের ঘরানা বিশেষ গৌরবের। এ ঘরানার শিল্পীরা ভারতের সর্বত্র গান গেয়ে, বাজনা বাজিয়ে সম্মানিত হচ্ছেন। কিন্তু খোদ বিষ্ণুপুর শহরে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত চর্চার বা পরিবেশনের পরিমণ্ডল ব্যাহত হচ্ছে। এই শহরেই জাতীয় মানের সঙ্গীত শিল্পীরা আছেন। কিন্তু তাঁদের কলানৈপুণ্য প্রদর্শনের কোনও নিয়মিত মঞ্চ নেই। বিষ্ণুপুর মেলায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হয় নামমাত্র। পর্যটন মেলায় ভারত বিখ্যাত শিল্পীরা আসতেন, তাঁদের সঙ্গে সাঙ্গীতিক মত বিনিময় হতো। এখন বছর তিনেক হল সেই মেলা বন্ধ। কেন বন্ধ কেউ বলতে পারেন না। যদুভট্ট মঞ্চটিতে খুবই উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার কোনও উদ্যোগ নেই। অথচ আগে এমনটা ছিল না। এটিকে একটি সঙ্গীতকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়। শতাব্দী প্রাচীন রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়টিকে সরকারের অধিগ্রহণ করা উচিত। পুরসভা ও তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ পর্যটক আনাগোনার সময় বিষ্ণুপুরী গানের আয়োজন করতেন। তাও বন্ধ। গায়ক-বাদকরা দায়িত্ব নিয়ে তাঁদের কলা চর্চার মানোন্নয়ন করেছেন। কিন্তু প্রশাসক ও নেতারা শিল্পীদের কথা ভাবছেন না।
জগন্নাথ দাশগুপ্ত, কবিরাজপাড়া

Advertisement

জীর্ণ বাসস্ট্যান্ড

ঐতিহ্যমণ্ডিত বিষ্ণুপুর নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছু রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকের সাথে আমিও কষ্ট পাই যখন দেখি এই শহরের কঙ্কালসার রাস্তাঘাট, সংস্কারবিহীন ও প্রায় বুজে যাওয়া বাঁধগুলির জীর্ণদশা ও বাসস্ট্যান্ডের জীর্ণ দশা দেখে পর্যটকেরা আঘাত পান। তাই আমি চাইব ২০১৫ পুরসভা নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দলের সদস্যেরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা যেন এই শহরে জল, আলো, শিক্ষা, সুষ্ঠ পরিবেশ, নিকাশি ব্যবস্থা, শিশুদের বিনোদন, পয়ঃপ্রণালির যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করেন।

তারাশঙ্কর চক্রবর্তী, আবরারমাঠ

সংস্কার চাই

তিলবাড়ির বাসিন্দা হিসেবে এলাকার কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গুমঘর থেকে রামানন্দ কলেজ যেতে কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পূর্ব দিকের গেটের সামনের রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। মাঝে মধ্যে মোরাম ঢেলে মেরামতের চেষ্টা করা হলেও বেশিদিন টেকে না। স্থায়ী ভাবে রাস্তা সংস্কার করা চাই। বিশেষত বর্ষাকালের কথা তো কহতব্য নয়। ঢালাই বা পাকা হয়ে গেলে (যা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি) সমস্যার সমাধান হতো। দ্বিতীয়ত, এলাকার মধ্যে জলের কল প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। তৃতীয়ত, নিকাশি নিয়েও চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন এলাকাবাসী। নালা না থাকায় সমস্যায় সবাই রয়েছেন। সাফাইয়েও নজর দেওয়া দরকার।

নির্মল রায়, তিলবাড়ি

মেয়ের কষ্ট ভুলব না

কয়েকদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কন্যাকে নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে ট্রেনে বিষ্ণুপুরে এসে নামি। তখন রাত ১১টা। ভাড়া গাড়িতে বিষ্ণুপুর স্টেশন থেকে বাড়িতে আসার সময় রাস্তা নামক ‘নরক’টুকু পেরিয়ে আসতে খানাখন্দের ধকলে মেয়েটাকে যা যন্ত্রণা পেতে দেখলাম কোনও দিনও ভুলব না। আন্তর্জাতিক খ্যাতানামা ঐতিহাসিক মল্ল রাজধানী তথা এক সময়ের জঙ্গলমহল জেলার সদর বিষ্ণুপুরে বহু দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসেন। নোংরা-আবর্জনা পেরিয়ে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁরা ফিরে যান-তাতে আমাদের সম্মান কতটা বাড়ে? বস্তিতে উন্নয়নের ছিঁটে ফোঁটা পৌঁছয় না। শহরজুড়ে শিক্ষিতৃঅর্ধশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাঁদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বড় বড় বাঁধগুলিকে কেন্দ্র করে পর্যটনবৃত্ত নির্মাণ করলে শহরের গরিমাও বাড়ে। শহরটার রাস্তাগুলো চওড়া করা দরকার। শহরের প্রাণকেন্দ্র চকবাজার, সব্জিবাজার, মাছের বাজার দোতলা করা যায়। নর্দমা সাফাইয়ের কাজ সকাল ৬টার মধ্যে সারা যায় না? বিভিন্ন মহল্লায় ছোট ছোট বাজার বসাতে হবে। ব্যস্ত রাস্তাগুলোর গা ঘেঁষে ইলেক্ট্রিকের খুঁটি, টেলিফোনের খুঁটিগুলো সরাতে হবে। স্কুল ও অফিসের টাইমে শহরে ইমারতি সরঞ্জাম নিয়ে গরুর গাড়ি, ট্রাক্টর, ট্রেলার ঢোকা বন্ধ করতে হবে। পঁচিশ বছর ধরে একই দলের একই পুরপ্রধান, তাহলে ‘আমার শহর’টাকে কেন একটু মনের মতো, একটু সুন্দর করা যায় না?

শেখ হারুন, সঙ্কটতলা


রামশরণ সঙ্গীত মহা বিদ্যালয়।


কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে যমুনা বাঁধ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন