মামলার বয়স কুড়ি। সাজাপ্রাপ্ত ৭৬। রায় শুনে আদালতের পথে বিনোদ মাঝি। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটি খুনের মামলায় ২০ বছর পরে সাজা শোনাল আদালত। বোলপুর থানা এলাকার ওই মামলায় বৃহস্পতিবার দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিলেন সিউড়ি তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক প্রদীপকুমার পাঁজা। মঙ্গলবারই অভিযুক্ত বিনোদ মাঝিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সরকারি আইনজীবী তপন গোস্বামী জানান, ১৯৯৫ সালের ২৩ জুলাই বোলপুরের বাঁধগড়া গ্রামে পড়শির হামলায় খুন হন মধূসুদন দত্তরায়। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হন তাঁর স্ত্রী দীপালিদেবীও। নিহত মধুসূদনবাবুর মেয়ে সাধনাদেবী প্রতিবেশি বিনোদ মাঝির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের দাবি ছিল, একটি পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে বিনোদবাবু মধুসূদনবাবু এবং তাঁর স্ত্রীকে শাবল দিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মধুসূদনবাবুর মৃত্যু হয়। দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে দীপালিদেবী সুস্থ হন। পুলিশ বিনোদবাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু করে। বোলপুর আদালত থেকে একসময় মামলাটি সিউড়ি আদালতে স্থানান্তরিত হয়। ওই মামলায় দু’টি ধারাতেই সিউড়ি আদালত বিনোদবাবুকে দোষী সাব্যস্ত করে। এ দিন বিচারক দোষীর যাবজ্জীনের সাজা শোনান। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন বিনোদবাবুর স্ত্রী পারুলদেবী। অন্যদিকে এ দিনের রায়ের পরে, নিহহতের আরেক মেয়ে অপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘প্রতীক্ষার শেষ হল। বাবার খুনির সাজায় আমরা খুশি।’’