প্রতীকী ছবি।
এ বার বিজেপির এক জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামের ওই বাসিন্দা লিপিকা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ায় জেলা তৃণমূল অফিসে গিয়ে দলবদল করেন। তিনি রঘুনাথপুর ২ ব্লকের জেলা পরিষদের ৩১ নম্বর আসনে জেতেন।
এই দলবদলের নেপথ্যে শাসকদল ও পুলিশের যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। লিপিকার স্বামী সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রঘুনাথপুর ২ ব্লকের বিজেপির একটি মণ্ডলের সভাপতি। সম্প্রতি পাড়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউড়িকে হেনস্থা করার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টার ধারা দিয়ে মামলা চলায় তিনি এখনও জেলেই। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘শাসকদলের চাপে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে সঞ্জীবকে ধরেছিল। এ বার পরিকল্পনামাফিক সঞ্জীবের স্ত্রী তথা আমাদের জয়ী জেলা পরিষদের সদস্যকে ওরা চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করল।’’
তবে বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নযজ্ঞে সামিল হতে লিপিকা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’ যোগদান সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি লিপিকা। শুধু বলেন, ‘‘আমি স্বেচ্ছায় তৃণমূল যোগ দিয়েছি।’’ এ দিন তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ও শান্তিরাম মাহাতো। ছিলেন পাড়া কেন্দ্রের বিধায়কও।
দলবদলের জেরে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। জেলা পরিষদের ৩৫টি আসনের নির্বাচনে প্রথমে বিজেপি ১০টি আসন পেয়েছিল বলে ঘোষণা হয়। পরে রঘুনাথপুর ১ ব্লকের একটি আসনে পুনর্গণনায় একটি আসন হারায় বিজেপি। সেই বিজেপি সদস্য গণেশ সিংহ-কে সম্প্রতি বীরভূম পুলিশ গ্রেফতার করেছে।