অবরুদ্ধ: যাত্রী অসন্তোষে থমকে ট্রেন। মুরারইয়ে। নিজস্ব চিত্র
বর্ধমান হোক বা বালুরঘাট, হাওড়া বা শিয়ালদহ, বোলপুর থেকে সাঁইথিয়া, রামপুরহাট বা পাকুড়— মুরারই বা রাজগ্রাম এলাকা থেকে সে সব জায়গার বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও তেমন ভাল নয়। ভরসা তা-ই ট্রেন। কিন্তু ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হলেই দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী, পড়ুয়ারা।
এখানেই শেষ নয়।
বিহারের ভাগলপুরে লাইন মেরামতির জন্য ২৭ নভেম্বর থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই রুটে বাতিল হয়েছে কয়েকটি ট্রেন। তার জেরে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে মুরারই এলাকার বাসিন্দাদের। সে জন্য মুরারই স্টেশনে কলকাতা-বালুরঘাট এক্সপ্রেস ১ মিনিট দাঁড়া করানোর দাবি তুলেছিলেন এলাকাবাসী। রেল কর্তৃপক্ষের কাছেও সেই অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাঁরা।
কিন্তু তার পরও বুধবার কলকাতা-বালুরঘাট এক্সপ্রেস দাঁড়ায়নি মুরারইয়ে। হুইস্ল বাড়িয়ে হুড়মুড়িয়ে চলে গিয়েছে সেই স্টেশনের পাশ দিয়ে। তাতেই অসন্তোষ বেড়েছিল যাত্রীদের। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে মুরারই স্টেশনে অবরোধ করা হয়। অবরোধে সামিল যাত্রীদের দাবি, স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালু না হওয়া পর্যন্ত মুরারইয়ে দাঁড় করাতে হবে কলকাতা-বালুরঘাট এক্সপ্রেস। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করা হবে। পরে রেল কর্তৃপক্ষে আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
আতাউর রহমান, রকিবুল ইসলামের মতো নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি মুরারইয়ের সাধারণ মানুষের বক্তব্য— মুরারই থেকে বোলপুর, বর্ধমান বা কলকাতা যাওয়ার বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও তেমন ভাল নয়। এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই তা-ই ট্রেন পরিষেবার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু মাসখানেক ধরে ওই রুটে ট্রেনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়েছে। চাতরা, মুরারই, বাঁশলৈ, রাজগ্রাম স্টেশনের যাত্রীদের এখন ভরসা শুধু বর্ধমান-বারহারওয়া প্যাসেঞ্জার এবং হাওড়া–মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস।
রাজগ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দলাল বিশ্বাস জানান, ওই প্যাসেঞ্জার ট্রেন রাজগ্রাম স্টেশনে পৌঁছয় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। অন্য দিকে রাত ৮টা ২০-তে হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এসে পৌঁছয় রাজগ্রাম স্টেশনে। লাইনে মেরামতির জন্য কয়েকটি ট্রেন বন্ধ থাকায় প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের।
প্রতিবাদে এ দিন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজগ্রামের বাসিন্দারাও। কিন্তু মুরারই স্টেশনে অবরোধ হওয়ায় রাজগ্রামের কর্মসূচি আপাতত বাতিল করা হয়।