পাইপের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় জলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পানীয় জল প্রকল্পের কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়া ১ ব্লকের রামনগর গ্রামের ঘটনা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানোর কাজ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাইপলাইন বসানোর জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি গাড়ি এলাকায় গেলে স্থানীয় মহিলাদের একাংশ গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। গাড়িটি ফেরত পাঠানো হয়। ঘেরাও করা হয় নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও।
কংসাবতী নদীর বেলডি ঘাট থেকে পাইপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা হয়েছে। প্রকল্পের নকশা মোতাবেক রামনগর গ্রামের মাটির নীচ দিয়ে পাইপ লাইন যাবে। এ দিন ওই গ্রামের রাস্তার পাশে পাইপ বসানোর কাজ চলছিল। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নলকূপ থাকলেও নলবাহিত পানীয় জল সেখানে সরবরাহ করা হয় না। গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পাইপ লাইন থেকে সেখানেও জল সরবরাহ করার দাবি তোলেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা সরস্বতী গড়াই, কবিতা গড়াই, রাধিকা মাহাতো, সবিতা মাহাতো, কল্পনা মাহাতো, বেলারানি মাহাতোদের বক্তব্য, ‘‘আগেও সৈনিক স্কুলের জন্য জলের লাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছে গ্রামের মধ্যে দিয়ে। তখন বলা হয়েছিল কয়েক বছরের মধ্যে আমাদের গ্রামেও প্রকল্পের জল আসবে। কিন্তু তা আর হয়নি। এ বারে আমাদের দাবি মানতেই হবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে প়ড়়ে এ দিন প্রকল্পের কাজ স্থগিত থাকে। ঠিকাদার সাধন গড়াই বলেন, ‘‘এই গ্রামে জলের সংযোগ দেওয়া হবে কি না সেটা তো আর আমি ঠিক করতে পারি না! পুরো ব্যাপারটা দফতরের কর্তাদের জানিয়েছি।’’ জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের (সিভিল) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সনৎ অধিকারী বলেন, ‘‘কাজ বন্ধের খবর পেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প থেকে গ্রামে জল দেওয়া সম্ভব নয়। রামনগর ও সোনাইজুড়ি গ্রামের জন্য আলাদা প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন এলেই সেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’’
রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো পুরুলিয়া ১ ব্লক এলাকারই বাসিন্দা। তিনিও ওই দু’টি গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের কাজ দ্রুত শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন।