coronavirus

জ়োন ভাগ করে ফের ‘লকডাউন’

মঙ্গলবার ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ নিয়ে রাজ্যের নির্দেশের পরে, বুধবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা সমস্ত ব্লকের সঙ্গে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০২:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার সংক্রমণ রুখতে ‘জ়োন’ চিহ্নিত করে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ‘লকডাউন’ শুরু হতে চলেছে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। যে সব এলাকায় আক্রান্ত রয়েছেন, সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসাবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে আশপাশের আরও কিছুটা এলাকা ‘বাফার জ়োন’ হিসাবে নির্দিষ্ট হয়েছে। দুই জেলার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত পুরুলিয়ায় ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’-এর সংখ্যা ১১টি। বাঁকুড়ায় ৩৬টি। নতুন রোগী চিহ্নিত হলে, সেই অনুযায়ী ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ আরও বাড়তে পারে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ নিয়ে রাজ্যের নির্দেশের পরে, বুধবার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা সমস্ত ব্লকের সঙ্গে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’ করেন। জানানো হয়, ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে ‘লকডাউন’ বিধি আগের মতোই জারি হবে। বিডিওদের বলা হয়েছে চিহ্নিত এলাকাগুলিতে কড়া নজর রাখতে। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর জানান, ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এ কোনও সরকারি অফিস থাকলে তা-ও বন্ধ থাকবে। জরুরি কারণ ছাড়া, ওই এলাকা থেকে কেউ বেরোতে বা ঢুকতে পারবেন না। শুধু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ -এ গতিবিধির উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে রাস্তায় বাঁশ বেঁধে ব্যারিকেড করছে পুলিশ। তবে বাসিন্দারা যাতে জরুরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন দাবি করেছে।

বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “রাজ্যের নির্দেশে জেলায় জ়োন চিহ্নিত করে লকডাউন জারি করা হচ্ছে৷ কড়া নজরদারি থাকবে এলাকাগুলিতে। সাধারণ মানুষের জরুরি জিনিসপত্র আমরা এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হচ্ছে।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “ইতিমধ্যেই প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকাগুলিতে কী ভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জরুরি কারণ ছাড়া, যাতে ওই এলাকাগুলিতে কেউ আসা-যাওয়া না করেন, সে দিকে পুলিশের কড়া নজর থাকবে।”

Advertisement

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত চিহ্নিত হওয়া সংক্রমিত এলাকাগুলির মধ্যে বাঁকুড়া শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকা রয়েছে। বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী পুরসভার কোনও এলাকা নেই। জেলার বাকি সমস্ত ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ গ্রামাঞ্চলে। বুধবার সকালে বাঁকুড়া শহরের চিহ্নিত এলাকাটিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ লোকজনই ‘মাস্ক’ পরেননি। পুরুলিয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকাও ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার সেখানকার রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। পুলিশি কড়াকড়িতে মানুষজনকে নিয়ম মানতে দেখা গিয়েছে। পুরুলিয়ার চিহ্নিত বাকি এলাকাগুলি বিভিন্ন ব্লকের। ঝালদা ও রঘুনাথপুর পুরসভা এলাকায় কোনও ‘কন্টেনমেন্ট
জ়োন’ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন