ছবি: পিটিআই।
জানুয়ারি মাসে কথা থাকলেও সিউড়ির জনসভায় আসেননি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দলীয় সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমে তাঁর আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন কিনা, নিশ্চিত নয় তাও। তবে যোগী আদিত্যনাথ, স্মৃতি ইরানির সম্ভাব্য বীরভূম সফর ঘিরে লোকসভার নির্বাচনের আগে প্রচারযুদ্ধে ঢেউ তুলতে চায় বিজেপি।
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা কর্মসূচি, তাতে যোগীজি ও স্মৃতি ইরানি বীরভূমে আসছেন। ২২ এপ্রিল আসার কথা যোগী আদিত্যনাথের। দু’টি জনসভা করার কথা তাঁর। অন্য দিকে ১৮ এপ্রিল স্মৃতি ইরানি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে একটি জনসভা করবেন। কোথায়, কখন সভা হবে— দু’এক দিন পরেই তা জানানো হবে।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, তার আগে অবশ্য দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ১৫ এপ্রিল কীর্ণাহার ও দুবরাজপুরে দু’টি রোড শো করবেন।
গত জানুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’য় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তার বিকল্প হিসেবে রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘গণতন্ত্র বাঁচাও সভা’ করার কথা ঘোষণা করেছিল বিজেপি। ঠিক ছিল, রাজ্যের পাঁচটি জায়গায় পাঁচটি সভা করবেন অমিত শাহ। সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। কিন্তু তাঁর অসুস্থতার খবরে মুষড়ে পড়েছিলেন দলের কর্মকর্তারা। পরে ঠিক হয়, সিউড়িতে অমিত শাহ না এলেও তাঁর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আসবেন। আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়েরও। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি সিউড়ির সেই সভায় স্মৃতি বা কৈলাস আসেননি। হতাশ হয়েছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। নেতাদের তরফে বলা হয়েছিল, ঝাড়গ্রামের সভা থেকে হেলিকপ্টার উড়তে দেরি হওয়ার কারণে সে দিন স্মৃতি ও কৈলাস সিউড়িতে পৌঁছতে পারেননি। লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থীদের প্রচারে স্মৃতি ইরানি ও বিজেপির ‘স্টার’ প্রচারক যোগী আদিত্যনাথের বীরভূম সফরের আশায় এখন বুক বাঁধছেন কর্মী সমর্থকেরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলও দলের শীর্ষনেতাদের এনে প্রচারের ভাবনা নিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বীরভূমে আসবেন বলে ঠিক হয়েছে। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তার আগে প্রচার করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। ভোটপ্রচারে দু’টি লোকসভা এলাকায় অভিষেকের অন্তত দু’টি এবং ফিরহাদ হাকিমের একাধিক সভা করার কথা রয়েছে।