বিতর্কিত: এমন পোস্টারই দেখা গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে মাওবাদীদের নাশকতার ঘটনা গত কয়েক বছরে না ঘটলেও পাশে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের তৎপরতা রয়েছে। তাই লোকসভা নির্বাচনের মুখে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া জেলার থানাগুলি বাড়তি সর্তকতা নিয়েছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানার বেড়াদা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের সরাইকিলা খারসওয়া জেলার নিমডি থানার ঘুটাডি গ্রামে মাওবাদীদের নামাঙ্কিত দু’টি পোস্টার উদ্ধার হওয়ায়, নিরাপত্তার বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়ে গিয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ও প্রশাসন ওই ঘটনার পরে আরও সতর্ক হচ্ছে ঝাড়খণ্ড লাগায়ো এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বুধবার বলেন, ‘‘মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ড-পুরুলিয়া সীমানায় আমরা যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়েছি। মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের পরে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’
সাদা কাগজে লাল কালিতে হাতে লেখা ‘ভারত কি কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)’ নামাঙ্কিত ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘এনকাউন্টারের’ জন্য পুলিশ আধিকারিকদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। আর একটিতে লেখা রয়েছে, হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদী ধংস করে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পোস্টারগুলি মাওবাদীদের কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, সাবধানের মার নেই। জেলার সীমানায় এমনিতেই সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, পুরুলিয়া জেলায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে মাওবাদীদের আনাগোনার খবর নেই। ঝাড়খণ্ডেই ওদের সক্রিয়তা সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবুও, পুরুলিয়া জেলার ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশি, খোঁজখবর রাখা সব পুরোদস্তুর রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি আধাসেনার শিবিরও।
লোকসভা ভোটের সময় যাতে মাওবাদীরা কোনও রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সে জন্য সম্প্রতি বান্দোয়ানে দুই রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা তথ্য আদানপ্রদান করতে এবং সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য বৈঠকে বসেন। ভোটের আগে এলাকার নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে কিছু কৌশলও তৈরি করা হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই পোস্টারগুলি লোকালয়ের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি মাওবাদীদের কোনও লিঙ্কম্যান সাঁটিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।