ভোট প্রচারে মাদল-তালে পা শতাব্দীর

তবে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচ শতাব্দীর এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক অনুষ্ঠানে শতাব্দী আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মিলিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ২২:০৭
Share:

জনসংযোগ: রামপুরহাটে জনতার ভিড়ে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র

প্রচারে বেরিয়ে কেউ আদিবাসী নাচের সঙ্গে পা মেলালেন, কেউ মন দিলেন নিপাট জনসংযোগেই।

Advertisement

এলাকার ৩৬টি গ্রামের মধ্যে ৩৩টি আদিবাসী প্রধান। রামপুরহাট থানার মাসড়া অঞ্চলের প্রায় ১১ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ভোটার আদিবাসী। এমন এলাকায় আদিবাসী নৃত্যের দল প্রায় প্রতি গ্রামেই আছে। জঙ্গলমহল কাপের জন্য এই সমস্ত আদিবাসী গ্রামে এখন পুরুষ এবং মহিলা ফুটবল দল গড়ে উঠেছে। আছে তিরন্দাজির দল। এমন আদিবাসী প্রধান এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মাসড়া অঞ্চলের নিরিষা ফুটবল মাঠে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় আদিবাসী মহিলাদের নৃত্যের তালে তাল মেলালেন। তবে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচ শতাব্দীর এই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক অনুষ্ঠানে শতাব্দী আদিবাসী নৃত্যের তালে পা মিলিয়েছেন। এর আগের দুটি নির্বাচনে শতাব্দী মাসড়া অঞ্চলে পিছিয়ে ছিলেন। এ বারে তৃতীয় বার প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমে মাসড়া অঞ্চল থেকে তাঁকে জয়ী করার জন্য প্রচার করেন শতাব্দী।

সম্প্রতি রামপুরহাট ১ ব্লকের দলীয় কর্মিসভায় জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দলের অঞ্চল সভাপতিকে মাসড়া অঞ্চল থেকে ৩ হাজারের লিড বেধে দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শতাব্দী ২০১৪ সালে পাঁচশোরও বেশি ভোটে মাসড়ায় পিছিয়ে ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৬ সালে মাসড়া অঞ্চল থেকে এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮৮২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এলাকার তৃণমূল কর্মী মইনউদ্দিন হোসেন জানান, মাসড়া অঞ্চল থেকে এ বার শতাব্দী রায়কে ৩ হাজারের বেশি লিড দিতে এলাকার কর্মীরা লড়াই করছেন। শতাব্দী ছাড়াও মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পান্থ দাস, মাসড়া অঞ্চলের প্রধান দিলীপ কিস্কু ওই সভায় ছিলেন। মাসড়ার আগে শতাব্দী বড়শাল অঞ্চলের পাখুড়িয়া গ্রামে সভা করেন। সেখান থেকে কাষ্টগড়া গ্রামে প্রচার সেরে মাসড়া যান।

Advertisement

নলহাটির কলিঠা এবং বাউটিয়ায় দুটি সভা করেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম সভা করেন কলিঠা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। সভায় কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের জেলা দুই সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, জেলা সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন। বছরের ২ কোটি বেকারের চাকরি কেন হল না, অসমের এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন।

সিউড়ি শহরে প্রচার করেন সিপিএমের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রেজাউল করিম। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ সিউড়িতে সিপিএমের জেলা কার্যালয় থেকে প্রায় ৬০ জন কর্মীকে নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে প্রচার করেন। মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে টোটো চালক, রিকশা চালক, বিভিন্ন দোকানদারের সঙ্গে কথা বলেন। এবং ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ দিন মিছিল সিউড়ি পার্টি অফিস থেকে টিন বাজার হয়ে মাদ্রাসা রোড হয়ে বাসস্ট্যান্ডে শেষ হয়। কিন্তু, কাজের সময়ে মিছিল হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। ভোগান্তি প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলেন, ‘‘ওই সময়টাই তো জনসংযোগ গড়ে তোলার সব থেকে ভাল সময়। তাই আমরা ওই সময় বেছে নিয়েছিলাম। তাতে যদি কারোর সমস্যা হয়ে থাকলে দুঃখিত।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির আহ্বানে সভা করলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম। ওই প্রচারে পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘শুধু নির্বাচন কমিশন কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে নির্ভর করে মানুষের ভোটের অধিকারকে রক্ষা করতে পারবো বলে মনে করি না। মানুষকে জোটবদ্ধ ভাবেই সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’ রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুই শক্তির বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে। বাংলায় বিজেপি কোনও বিষয় নয়। এখানে স্বৈরতন্ত্র রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল। তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের মূল লড়াই।’’

অন্য দিকে, মহম্মদবাজারের রামপুরে প্রচারে ছিলেন দুধকুমার মণ্ডল। ব্লকের কালীতলা মাঠে আয়োজিত হয় বিজেপির জনসভা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল, জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, জেলা সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন