বিজেপি-র কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

নারায়ণপুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা প্রশান্ত শালের দাবি, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোন তৃণমূল কর্মী জড়িত নন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩১
Share:

আহত বিজেপি কর্মী। বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

এক বিজেপি কর্মীর পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল বিষ্ণুপুরের নারায়ণপুর বাজার। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘সোমবার সকালে দলীয় কর্মীরা পতাকা নারায়ণপুর বাজারের বিভিন্ন জায়গায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁদের বাধা দেয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দলবল নিয়ে এসে তাঁদের উপর চড়াও হয়।’’

ওই বিজেপি নেতার দাবি, ‘‘মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে সুকুমার জৌলী নামে এক বিজেপি কর্মীর। মারধর করা হয়ে আরও ১১ জনকে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। সুকুমারের চোট গুরুতর। তাঁকে প্রথমে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ আহত আরেক বিজেপি কর্মী সনাতন দীগর বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সুকুমার বলেন, ‘‘নারায়ণপুর বাজারে পতাকা টাঙানোর সময় আমার উপর চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মীরা। লাঠি দিয়ে মেরে পা ভেঙে দেয়।’’ সনাতনের অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী ধগড়িয়া থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী এনে আমাদের আক্রমণ করে। ওঁদের হাতে লোহার রড ছিল। সুকুমারের পায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে।” বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, “নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসবে তৃণমূলের ভয় তত বাড়বে। বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণও তাই বাড়বে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘হাল ছাড়লে চলবে না। একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগন এই সবের জবাব দেবেন।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নারায়ণপুর অঞ্চলের তৃণমূল নেতা প্রশান্ত শালের দাবি, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে কোন তৃণমূল কর্মী জড়িত নন।’’ এই ঘঠনায় বিকেল পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘ও ব্যাপারে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ স্বপনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই পাত্রসায়র থানায় অভিযোগ করা যাচ্ছে না। অন লাইনে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন