হাতের প্রসাদ দিলেন কেষ্টকে

মঙ্গলবার বর্ধমানের কৃষি খামার মাঠে মাটি উৎসবের সূচনা করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে আসেন বোলপুর। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বিশ্বভারতী পল্লি শিক্ষা ভবনের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৪১
Share:

একমনে: পুজো দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার বর্ধমানের কৃষি খামার মাঠে মাটি উৎসবের সূচনা করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে আসেন বোলপুর। দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বিশ্বভারতী পল্লি শিক্ষা ভবনের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন তিনি। এরপরই সোজা চলে যান বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালীতলায়। সেখানে মন্দিরের পূজারী মহাদেব চৌধুরীর উপস্থিতিতে পুজো দেন। পুজোর পরে নিজের হাতে প্রসাদ খাইয়ে দেন তাঁকে ও অনুব্রত মণ্ডলকে।

Advertisement

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একান্নপীঠের পাঁচটি পীঠই রয়েছে বীরভূমে। নলহাটি থেকে শুরু করে বক্রেশ্বর, তারাপীঠ, কঙ্কালীতলা সব পীঠকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম করা হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্য পর্যটনক্ষেত্রগুলিরও উন্নয়ন করা হচ্ছে। একান্নপীঠের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে তারাপীঠ। তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে তারাপীঠের সৌন্দর্যায়ন করা হচ্ছে। একই ভাবে তারকেশ্বর ও কালীঘাটের জন্যও পরিকল্পনা রয়েছে।’’ কঙ্কালীতলার জন্যে ইতিমধ্যেই টাকা দেওয়া হয়েছে, জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এখানেও উন্নয়ন হবে। গেস্ট হাউস, ক্যাফেটেরিয়া, শৌচালয় হবে। মূল যে পুকুরটি রয়েছে (সেখানেই দেবীর কাঁকাল পড়ে আছে, এ রকম জনশ্রুতি) তারও সংস্কার করা হবে। পুরোটা বাঁধানো হবে।’’

এত দিন স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, তারাপীঠ যে ভাবে সেজে উঠছে, কঙ্কালীতলা পিছিয়ে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে খুশি স্থানীয় মানুষেরাও। কঙ্কালীতলা থেকে পুজো দিয়ে ফেরার পথে তিনি শ্যামবাটি ক্যানালের কাছে গাড়ি থেকে নেমে যান। তারপর পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন খোয়াই হাট। তাঁরই নির্দেশ মতো সেখানে তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব বসার জায়গা, ইকো ট্যুরিজম পার্ক। হাত মেলান হাটের ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের সঙ্গে। কথা বলেন কুন্তী সাউয়ের সঙ্গে। যাঁকে গত বছর এসে বাড়ি তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। জমির পাট্টা পেয়ে গেলেই তিনি নিজের বাড়ি পাবেন, জানিয়েছেন জেলাশাসক।

Advertisement

এরপর মুখ্যমন্ত্রী আমার কুটির ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, পুলিশ সুপার নীলকান্তম সুধীরকুমার। শেষ পর্যন্ত ফিরে যান রাঙাবিতানে। আজ, বুধবার আমোদপুরে জনসভা। এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে জনসভা করবেন। আগামী দিন, বৃহস্পতিবার জয়দেবে বাউল উৎসবেরও সূচনা করবেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন