হড়পা বানে ভেসে গেল বান্দু নদীর সেতুর রাস্তা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বান্দু নদীর উৎস পাহাড়েই। অন্য সময়ে নদী দিয়ে তিরতির করে জল বয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ওই নদীর রূপ যায় বদলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আড়শা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০২:৩১
Share:

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই রাস্তার এই অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

মেরামতির পরে প্রথম বর্ষাতেই হড়পা বানে ধুয়ে গেল সেতু লাগোয়া রাস্তা। সোমবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে অযোধ্যা পাহাড়ে বান্দু নদীর সেতু লাগোয়া রাস্তাটি ধুয়ে গিয়েছে। আড়শার ব্লক সদর শিরকাবাদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নুনিয়া, তানাসি ও হাড়মাডি-সহ বেশ কয়েকটি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বান্দু নদীর উৎস পাহাড়েই। অন্য সময়ে নদী দিয়ে তিরতির করে জল বয়ে যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ওই নদীর রূপ যায় বদলে। এ দিন দুপুরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নদীতে জল বাড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নদীতে প্রচণ্ড বান যাচ্ছিল। জল কমতেই দেখা যায় নুনিয়া, তানাসির প্রান্তে সেতু অক্ষত থাকলেও সেতু লাগোয়া রাস্তার অনেকটা অংশই জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, বছর তিনেক আগে একই ভাবে পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে নদীতে জলোচ্ছাস হয়ে ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। গত বছরের শেষে সেতু মেরামতির কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তাটিও নতুন করে তৈরি হয়েছিল। রাস্তা নির্মাণের পরে এটিই প্রথম বর্ষা। তাতেই রাস্তা ধুয়ে যাওয়ায় মেরামতির কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

Advertisement

নুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন মাহাতো, জয়ন্ত মাহাতো, ভঁদুর মাহাতোরা বলেন, ‘‘পাহাড়ে বৃষ্টি হলে নদীতে জল বাড়ে। বৃষ্টি থামলে কিছু ক্ষণের মধ্যে কমেও যায়। সোমবার বিকেলে জল নামতেই দেখা গিয়েছে, রাস্তার অনেকটা ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে। অনেকটা গভীর গর্ত হয়ে রয়েছে।’’ তাঁরা জানান, মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া তো দূরঅস্ত, সাইকেল নিয়েও সেতু পার হওয়া যাচ্ছে না। মনোরঞ্জন মাহাতো বলেন, ‘‘আমাকে দায়ে পড়ে সেতু পার হতে হয়েছে। গর্তে নেমে একজন সাইকেল ধরেছেন, তারপরে উপর থেকে একজন টেনে তুলেছেন। খুবই ঝুঁকির ছিল ব্যাপারটা।’’ হাড়মাডির সাধুচরন মাহাতো জানান, এই পরিস্থিতিতে এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কী ভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে সেটাই ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা। আড়শা হয়ে ঘুরপথে যাওয়া যায় বটে, কিন্তু সেই রাস্তাতেও একটি ছোট নদী পড়ে। ওই নদীতে আবার কোনও সেতু নেই। এই পরিস্থিতিতে কার্যত দ্বীপের মতো বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে ওই গ্রামগুলি।

জেলা পরিষদের এলাকার সদস্য অপর্ণা সেন বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষজনের অসুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা পরিষদ যাতে দ্রুত ওই রাস্তা মেরামতিতে হাত দেয়, সে জন্য সভাধিপতিকে অনুরোধ করছি।’’ বিডিও (আড়শা) শাহনাজ খানম বলেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই ব্যাপারটা ঘটেছে। দেখছি কত দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন