Maoist

মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সারেঙ্গায়

এ মাসের গোড়ায় ঝাড়গ্রামের ঝাড়খণ্ড-ঘেঁষা বেলপাহাড়ি থানার ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে বেড়াতে যাওয়া খড়্গপুরের কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেছিলেন, সশস্ত্র মাওবাদীরা তাঁদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সারেঙ্গা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মাওবাদীদের নাম লেখা পোস্টার উদ্ধার হল বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সামনে থেকে। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজনের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা তেমন দু’টি পোস্টার উদ্ধার করেছে। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, তাতে প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি না মেলার অভিযোগ করা ছিল। তবে এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘মাওবাদীদের পোস্টারের সঙ্গে এই পোস্টারের কোনও মিল নেই। কেউ বা কারা আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এটা করেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

এ মাসের গোড়ায় ঝাড়গ্রামের ঝাড়খণ্ড-ঘেঁষা বেলপাহাড়ি থানার ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে বেড়াতে যাওয়া খড়্গপুরের কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেছিলেন, সশস্ত্র মাওবাদীরা তাঁদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অমিতকুমার সিংহ রাঠৌর দাবি করেছিলেন, মোবাইল হারিয়ে মাওবাদীদের গল্প ফেঁদেছিলেন বলে জেরায় এক যুবক স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে অভিযোগ ওঠার পরে, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র নিজে ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে গিয়েছিলেন। মাওবাদী পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠক করেন তিনি।

এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে এখন মাওবাদীদের কোনও অস্তিত্ব নেই।’’ তিনি জানান, কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র প্রতিষ্ঠা দিবসের কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতা হিসেবেই শনিবার থেকে পুলিশি টহল চলেছে এক সময়ে মাওবাদী অধ্যুষিত রানিবাঁধ, বারিকুল, রাইপুর, সারেঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায়। সাত দিন, দু’বেলা এই টহল চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।সারেঙ্গা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুদীপ সোরেন বলেন, ‘‘অফিসের সামনে মাওবাদীদের নাম করে দু’টি পোস্টার দেওয়া হয়েছে বলে সকালে স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি। তার মধ্যে একটি দেওয়ালে সাঁটা ছিল। অন্যটি পড়েছিল নীচে। খবর পেয়েই পুলিশে ফোন করি।’’ পোস্টারে কী লেখা ছিল, তা বলতে পারেননি তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন