স্কুল-সেরা হয়েও দুশ্চিন্তায় মৌলি

ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বার ৪৬৬ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে। ময়ূরেশ্বরেরই বারগ্রামে মৌলিদের অভাবের সংসার। বিঘে দুয়েক মাত্র জমি সম্বল। ওই জমির উপরেই নির্ভর করে চলে মৌলির পড়াশোনা সহ তিন সদস্যের সংসার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

জয়ী: মৌলি ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

স্বপ্ন ছিল শিক্ষিকা হওয়ার। কিন্তু ইচ্ছেপূরণের পথে বাধা অর্থাভাব। তাই স্কুলের সেরা রেজাল্ট করেও দুশ্চিন্তায় পড়েছে মৌলি ঘোষ।

Advertisement

ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বার ৪৬৬ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে। ময়ূরেশ্বরেরই বারগ্রামে মৌলিদের অভাবের সংসার। বিঘে দুয়েক মাত্র জমি সম্বল। ওই জমির উপরেই নির্ভর করে চলে মৌলির পড়াশোনা সহ তিন সদস্যের সংসার। এতদিন কোনও রকমে চলে গেলেও এ বারে কিভাবে মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাবেন তা নিয়েই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন বাবা সজল ঘোষ। ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষিকা হতে চায় মৌলি। কাছে পিঠে কোনও কলেজে ভূগোল নিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। যেতে হবে প্রায় ২০ /২৫ কিমি দুরের কলেজে। সেক্ষত্রে হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতে হবে তাকে। তার উপরে রয়েছে টিউশানি সহ অন্যান্য খরচ। প্রতিমাসে ওই টাকা যোগানো সম্ভব নয় সজলবাবুর পক্ষে। তিনি বলেন, ‘‘জমির আয়ে কোনও রকমে সংসার চলে, এতদিন কোনও রকমে ধার দেনা করে মেয়েকে পড়িয়েছি। জানি না এরপর কি হবে?’’

মৌলি জানায়, আমাদের মতো পরিবারে ভালো রেজাল্ট করা মানেই তো বাবা-মা’কে চিন্তায় ফেলে দেওয়া। যদি কোনও ব্যবস্থা হয় তো ভূগোল নিয়ে পড়ব। নাহলে পাশ কোর্সেই কাছের কোনও কলেজে ভর্তি হব। ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় রাঙামাটি পল্লি উন্নয়ন সমিতির সদস্য অয়ন ঘোষ জানান, মেয়েটির পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। সাহায্য করার চেষ্টা করব।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন