পরিষেবায় নজর দিতে বৈঠক হাসপাতালে

রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সতর্ক সংশ্লিষ্ট সব মহল। আর তাই মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, রোগী পরিষেবা সহ-একাধিক বিষয় নিয়ে ঘণ্টা তিনেক ধরে হল বৈঠক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৫
Share:

আলোচনা চলছে সুপারের ঘরে। —নিজস্ব চিত্র

রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য সতর্ক সংশ্লিষ্ট সব মহল। আর তাই মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, রোগী পরিষেবা সহ-একাধিক বিষয় নিয়ে ঘণ্টা তিনেক ধরে হল বৈঠক। জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি, মহকুমা হাসপাতালের সুপার অমিত মজুমদার-সহ ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং সেবিকাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীও।

Advertisement

বৈঠক শেষে বাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক আছে। হাসপাতালের নিয়ম নীতি মেনে গাদাগাদি ভিড় না করা উচিত এবং ঠিক সময়ে রোগীদের কাছেই যাওয়া উচিত। সিএমওএইচ, সুপার, চিকিৎসক এবং সেবিকাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু চিকিৎসক ও সেবিকার ঘাটতি রয়েছে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ এবং রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক ধরে উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাবে রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে রামপুরহাটে। যার জেরে হাসপাতালে ভাঙচুর, স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরিকাঠামোর ঘাটতি কমবেশি রয়েছে জেলার অন্যান্য হাসপাতালেও। পরিকাঠামো এবং পরিষেবা অভাবের অভিযোগ তুলে, রামপুরহাটের ঘটনা যাতে জেলার অন্য কোনও হাসপাতালে না ছড়ায়, তার জন্য হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সব স্তরকে নিয়ে এ দিনের বৈঠক বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।

Advertisement

ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলা, চিকিৎসক এবং সেবিকা তথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন বিকাশবাবু। তিনি বলেন, “কথায় কথায় মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের রেফার করা কমেছে। সার্বিক রোগী পরিষেবা ভাল। অনুমোদিত শয্যা থেকে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন। তা সত্বেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। দল বেঁধে ঢুকলে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। হাসপাতালে সিটিস্ক্যান ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা চলছে।”

হাসপাতালের ভিতরের ব্যবস্থা এবং পরিষেবা সরজমিনে খতিয়ে দেখে, দরাজ হাতে সার্টিফিকেট দিলেও, চিকিৎসক ও সেবিকাদের আবাসন, হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার রাস্তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিকাশ। জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসারকে ডেকে কাজ ফেলে না রেখে দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “হাসপাতালের পরিষেবা আরও কী ভাবে উন্নত করা যায়, আরও বেশি করে মানুষ জন যাতে পরিষেবা পান তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিকিৎসক, সেবিকা এবং পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন