শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন করতে রামপুরহাট থানার আইসি-র বদলি চাইলেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা। এই দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে সরব হলেন তৃণমূল ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতারা।
এ দিন নিজের অফিসে এলাকার সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জোবি থমাস পুরভোট সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক উমাশঙ্কর এস। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, বিজেপি-র রামপুরহাট শহর পর্যবেক্ষক সত্যেন দাস, জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী, সিপিএমের রামপুরহাট শহর লোকাল কমিটির নেতৃত্ব, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব।
সৈয়দ সিরাজ জিম্মি অভিযোগ করেন, ‘‘রামপুরহাট থানার আইসি শুধুমাত্র একটি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। এ দিনের বৈঠকে তৃণমূল ছাড়া বাকি সব বিরোধী দলই ওই আইসিকে অবিলম্বে সরানোর দাবি জানিয়েছি।’’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণও দাবি করেন, ‘‘একজন পুলিশ অফিসার থানায় বসে যদি মনে করেন তিনি শুধুমাত্র শাসকদলের প্রতিনিধি হয়ে যা করবেন সেটাই রামপুরহাটের রাজনৈতিক বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মেনে নেবেন, তাহলে আমজনতা পথে নামবে।’’ আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি মিলটন রসিদ জানান, মানুষের ওই আইসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এগিয়ে আসা উচিত। বিজেপি-র জেলা সহ-সভাপতি শুভাশি, চৌধুরী বলেন, ‘‘রামপুরহাট শহরের ঐতিহ্য বজায় রেখে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। পুলিশের কাছে সেটাই চাওয়া হয়েছে।’’ রামপুরহাটের এসডিও বলেন, ‘‘এখন নির্বাচন বিধি জারি হয়েছে। যা করার নির্বাচন কমিশন করবে।’’
তিনি জানান, শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রচার চলাকালীন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দু’টি করে ওয়ার্ডে একজন অফিসার-সহ চার জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন রাখার ব্যবস্থা হবে। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জোবি থমাস জানান, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।