বালির অবাধ পাচার চলছে অভিযোগ তুলে সাধারণ বাসিন্দারা তো বটেই, বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকেরাও ময়দানে নেমে পড়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানবাজারের রাস্তায় পথ অবরোধ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মানবাজার ১ ব্লক অফিসে বিডিও, থানার ওসি এবং সেচ দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এলাকার নদী ঘাট থেকে বালি তোলা নিয়ে বৈঠক হয়ে গেল।
মানবাজার ১ বিডিও সায়ক দেব বলেন, ‘‘এখানে কংসাবতী ও কুমারী নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে ব্যবসায়ীরা বালি তোলেন। জেলার সেচ দফতর থেকে তাঁদের বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের তেমন সরাসরি যোগাযোগ থাকে না। অথচ বিভিন্ন সময় বালি তোলা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে প্রশাসনিক জটিলতা বেড়ে যায়। অথচ আমরা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি না। এ কারণে সেচ দফতরের আধিকারিকদের মানবাজার ১ ব্লক অফিসে বৈঠক করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’’ এ দিনের বৈঠকে কোন নদী ঘাট থেকে কত পরিমাণ বালি কত দিনের মধ্যে তুলতে হবে, কোন রাস্তা দিয়ে যাবে, পদ্ধতি মেনে বালি তোলা হচ্ছে কি না, এই সব প্রশ্ন উঠে আসে।
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের আধিকারিকেরা বৈঠকে জানিয়েছেন জেলাস্তরে তাঁদের কর্মী সংখ্যা কম। পরিকাঠামোগত দুর্বলতা থাকায় অভিযোগ পেয়েও তাঁদের পক্ষে অনেক সময় ঘটনাস্থলে যাওয়া যায় না। তবে ভবিষ্যতে দু’পক্ষ যোগাযোগ রেখে চললে, এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। বিডিও সায়ক দেব জানিয়েছেন, ‘‘ব্লক এলাকার কারা কখন বালি তোলার অনুমতি পাচ্ছেন এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য এ বার থেকে সেচ দফতর আমাদের নিয়মিত জানাবেন। আশা করি সমস্যা কমবে।’’