তিলপাড়ায় কমেছে পরিযায়ী পাখির দল

তিলপাড়া জলাধারে ক্রমেই কমে আসছে পরিযায়ী পাখিদের আসা। ময়ূরাক্ষীর জলে দেশবিদেশের পরিযায়ী পাখির টানে ছুটে আসতেন পক্ষীপ্রেমীরা। ‘হুইসলিং ডাক’, ‘বার-হেডেড গুস’, ‘রেড-ক্রেস্টেড পর্চাড’দের মতো পরিযায়ী পাখির জলকেলি লেন্সবন্দি করে শীতকালে মনের আনন্দ মেটাতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২৪
Share:

তিলপাড়া জলাধারে ক্রমেই কমে আসছে পরিযায়ী পাখিদের আসা। ময়ূরাক্ষীর জলে দেশবিদেশের পরিযায়ী পাখির টানে ছুটে আসতেন পক্ষীপ্রেমীরা। ‘হুইসলিং ডাক’, ‘বার-হেডেড গুস’, ‘রেড-ক্রেস্টেড পর্চাড’দের মতো পরিযায়ী পাখির জলকেলি লেন্সবন্দি করে শীতকালে মনের আনন্দ মেটাতেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই কমতে শুরু করেছে ওই সব পাখিদের আসা-যাওয়া। জলাধারে মাছ ধরায় পাখিদের শান্তির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন পক্ষীপ্রেমীরা। ভোর রাত থেকে সারা দিন ছোট টিনের নৌকা, লোহার কড়াইয়ে ফাঁস জালে মাছ ধরেন স্থানীয়রা। এ ছাড়াও পাশের জেলা মুর্শিদাবাদ থেকে ও নৌকা নিয়ে মাছ ধরেন জেলেরা। জলাধার সংলগ্ন রণপুর গ্রামের বাসিন্দা সজল মণ্ডলের দাবি, মাছ ধরার উৎপাতে পাখিরা মুখ ফেরাচ্ছে, চলে যাচ্ছে অপেক্ষাকৃত শান্তির ঠিকানা বক্রেশ্বর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন জলাধার নীলনির্জনে। তিলপাড়ার নাব্যতাও কমেছে, তাতে পাখিরা পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না বলে মনে করছেন তিনি। জেলার বনাধিকারিক কল্যাণ রাই বলেন, ‘‘তিলপাড়া জলাধারের এলাকা আমাদের নয়। তাই পরিযায়ী পাখিদের আসার সময়ে মাছ ধরার ওপর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে, পাখিদের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে সচেতনতার বোর্ড লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন