নিখোঁজ কিশোরের হদিস মিলল নাগপুরে

দাদার সঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর রূপনাথ ওরফে পাপু মান্ডি। কিন্তু কয়েকদিন পরে দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে সে বাড়ি ফিরতে ট্রেনে চড়ে বসে। কিন্তু ভুল ট্রেনে উঠে পড়ায় ওই কিশোর আর বাড়ি ফিরতে পারেনি ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:১২
Share:

দাদার সঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর রূপনাথ ওরফে পাপু মান্ডি। কিন্তু কয়েকদিন পরে দাদার সঙ্গে ঝগড়া করে সে বাড়ি ফিরতে ট্রেনে চড়ে বসে। কিন্তু ভুল ট্রেনে উঠে পড়ায় ওই কিশোর আর বাড়ি ফিরতে পারেনি । শেষে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে দু’মাস পরে খোঁজ পাওয়া গেল পাপুর— নাগপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, পাপুকে ফিরিয়ে আনতে তার দাদা দুর্গাদাস মান্ডি রবিবার চেন্নাই থেকে নাগপুরে রওনা হয়েছেন।

Advertisement

পাপুর বাড়ি মানবাজার থানার অক্ষয়পুর গ্রামে। সে নিখোঁজ হওয়ার পরে পুলিশের কাছে পরিবারের লোকেরা নিখোঁজের ডায়েরি করেননি। পুঞ্চা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে কলকাতা থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীর পরিচয় দিয়ে মধুরিমা কর্মকার পুঞ্চা থানায় ফোন করেন । তিনি পুলিশকে জানান, নাগপুরের একটি সংস্থা মারফৎ তাঁরা খবর পেয়েছেন, পুরুলিয়ার অক্ষয়পুর গ্রামের এক কিশোর সেখানকার হোমে রয়েছে। ছেলেটি কিছুদিন পুঞ্চা থানার এলাকার রামনগর হাইস্কুলেও পড়তে গিয়েছিল। তার পরিবারের সঙ্গে পুলিশকে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান ওই মহিলা।

খোঁজ করতে গেলে পুঞ্চা থানার পুলিশ রামনগর হাইস্কুলের এক ছাত্রের কাছে খবর পায়, পাপু খুব অল্পদিন স্কুলে এসেছিল। তবে তার বাড়ি স্কুল থেকে দু’কিলোমিটার দূরে মানবাজার থানার অক্ষয়পুর গ্রামে। মানবাজার থানার পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়।

Advertisement

অক্ষয়পুর আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। পাপুর বাবা পেশায় চাষি রঘুনাথ মান্ডি বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের কয়েকজন যুবক চেন্নাইয়ে নির্মাণ অথবা পাথর পালিশের কাজ করে। আমার বড় ছেলে দুর্গাদাস কাজের সূত্রে কয়েক বছর ধরে সেখানেই রয়েছে। মে মাসের শেষে বাড়ি এসেছিল। তখন ছোট ছেলে পাপু দাদার সঙ্গে চেন্নাই যাবে বলে জেদ ধরে। দুর্গাদাস ভাইকে সাথে নিয়ে গিয়েছিল। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দাদার সাথে ঝগড়া করে বাড়ি আসব বলে সেখান থেকে বেরিয়েছিল। তারপর থেকে পাপুর খোঁজ পাইনি।’’

পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েই দুর্গাদাস ভাইকে উদ্ধারে রওনা হয়েছেন। তার আগে বলেন, ‘‘ভাই ভুল ট্রেনে নাগপুরে চলে যায়। সেখানে রেল পুলিশের হাতে পড়ে হোমে ঠাঁই হয়। তবে সে হিন্দি বা ইংরেজি জানে না। বাংলাতেও তেমন রপ্ত নয়। শুধু সাঁওতালিতে কথা বলতে পারে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, পাপু ঠিকঠাক নিজের পরিচয়-ঠিকানা বলতে পারেনি। এই কারণে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে এত দেরি হল।’’

পড়ে মৃত্যু। গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। মৃতের নাম অনিল মালিক (৫০)। বাড়ি মন্তেশ্বরের পুটসুড়ি গ্রামে। শনিবার সকালে অনিলবাবু খেজুর গাছে উঠে পাতা কাটছিলেন। গাছ থেকে আচমকা তিনি পড়ে যান। সঙ্গে থাকা হাঁসুয়া অনিলবাবুর পেটে ঢুকে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন