Traffic Condition at Rampurhat

ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, ক্ষোভ বিধায়ক, পুরপ্রধানের

পুরপ্রধান সৌমেন ভকতের অভিযোগ, শহরে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার ফলে শহর জুড়ে যানজট লেগেই থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:১১
Share:

রামপুরহাট শহরে এরকম যানজট নিত্য়দিনের। ছবি: সব্য়সাচী ইসলাম

রামপুরহাট শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ একেবারে ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ তুললেন খোদ জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার এই অভিযোগ তোলেন শহরের বাসিন্দা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরপ্রধান সৌমেন ভকত। দু’জনেরই অভিযোগ, ‘‘শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে বলে মনে হচ্ছে না। কেউ কোনও নিয়ম মানছে না।’’

Advertisement

পুরপ্রধান সৌমেন ভকতের অভিযোগ, শহরে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার ফলে শহর জুড়ে যানজট লেগেই থাকছে। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা উৎসব শুরু হবে। এর পরে পুজোর বাজার শুরু হবে। অথচ শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছে।’’ যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে বাদ দিয়ে শহরের বাসিন্দারা পুরসভাকে দোষারোপ করছে বলে পুরপ্রধানের ক্ষোভ। আশিস বলেন, ‘‘শহরে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঠিক ভাবে পরিচালনা করতে রবিবার রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে পুলিশ-প্রশাসন, অটো ও টোটো ইউনিয়ন-সহ পুরসভা, ব্যবসায়ী সমিতির মতো সকলকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।’’

শহরের যান নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘শহরের ভিতরে ছোট রাস্তা। এর আগেও যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত দু-একদিন মানার পরে আবার যা ছিল তাই। কেউ কোনও নিয়ম শৃঙ্খলা মানছেন না। আগামী বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দেখা যাক।’’ ট্রাফিক অফিসার-ইন-চার্জ সঞ্জিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি পাঁচ দিন ছুটিতে ছিলাম। কাজে যোগদান করার পরে শহরে যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। যান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অবশ্যই বৈঠক হওয়া উচিত।’’

Advertisement

জাতীয় সড়ক থেকে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা— কোথাও নজরদারি নেই। হাজার হাজার টোটো ছুটে চলেছে অবাধ গতিতে। আর সেই দৌরাত্ম্যেতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের উপর বাসস্ট্যান্ড থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত যানজটে নিত্য দিনের ভোগান্তির কারণ।’’ তিনি জানান, জাতীয় সড়কের যানজটে শহরের ভিতরে মহাজনপট্টি মোড় থেকে কামারপট্টি মোড়, কামারপট্টি মোড় থেকে দেশবন্ধু রোড হয়ে পাঁচমাথা মোড়, পাঁচমাথা মোড় থেকে ব্যাঙ্ক রোড, ডাকবাংলা মোড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের ছ’ফুঁকো এলাকা, ভাঁড়শালাপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর বাজার বসার জন্যও যানজটের সৃষ্টি হয়। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘যানজটের ফলে বাড়ি থেকে অফিস আসতে আগে গাড়িতে পাঁচ মিনিট সময় লাগত। এখন সেখানে দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় লাগে।’’ বিশু মণ্ডল নামে এক গাড়িচালক বলেন, ‘‘হাসপাতাল পাড়া থেকে বাসস্ট্যান্ড পাঁচ মিনিটের রাস্তা এখন নিত্যদিনের যানজটে আধঘন্টা সময় লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন