‘গণতন্ত্র’ চেয়ে পথে নামলেন বিধায়ক মিল্টন

ডান হাতে জাতীয় পতাকা ও বাম হাতে কংগ্রেসের পতাকা, প্ল্যাকার্ডে লেখা রাষ্ট্রপতি শাসন চাই, বাংলায় গণতন্ত্র চাই। প্রায় দশ মিনিট পথে বসে পড়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১৭
Share:

প্রতিবাদ: শাসক দলের বিরুদ্ধে পথে নামলেন কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। রবিবার রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন এবং গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে রামপুরহাট শহরের পথে পথে একা ঘুরলেন হাঁসন বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ জাতীয় সড়কের রামপুরহাট লোটাস প্রেসমোড় বাস স্টপেজ থেকে হাঁটা শুরু করেন তিনি। ডান হাতে জাতীয় পতাকা ও বাম হাতে কংগ্রেসের পতাকা, প্ল্যাকার্ডে লেখা রাষ্ট্রপতি শাসন চাই, বাংলায় গণতন্ত্র চাই। প্রায় দশ মিনিট পথে বসে পড়েছিলেন তিনি। ফলে, জাতীয় সড়কে কিছু ক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে তিনি লোটাস প্রেস মোড় থেকে কামারপট্টি, পাঁচমাথা, ডাকবাংলা মোড়, পুরসভা যাওয়ার রাস্তা এবং পরে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের অফিস পর্যন্ত হাঁটেন তিনি।

Advertisement

গত বিধানসভা ভোটে হাঁসনকেন্দ্রে জোটের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন মিল্টন রশিদ। তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। তৃণমূলের প্রবল ‘ চাপ ও হুমকির’ পরেও তিনি অসিত মালকে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এই হাঁসন বিধানসভাকেন্দ্রে রামপুরহাট ২ ও নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। এই দুই পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৫টি পঞ্চায়েত আছে। জেলা পরিষদের আসন রয়েছে ৫টি। শনিবার পর্যন্ত বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি।

বিধায়ক বলেন, ‘‘শনিবার রামপুরহাট শহরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যস্ততম রাস্তা ব্যাঙ্ক রোড অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। ফলে, তারাপীঠ যাওয়ার জন্য ট্রেকার, অটো এবং শহরের মধ্যে যাতায়াতকারী অন্য যানবাহন রামপুরহাট স্টেশন থেকে পাঁচমাথা হয়ে ব্যাঙ্ক রোড দিয়ে যেতে পারেনি।” তাঁর অভিযোগ, “ওলি-গলিতে দুষ্কৃতীরা বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। এতে শহরের মানুষ ভীত। শহরের নাগরিক আমার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।” তাঁর দাবি, তাঁদের ক্ষোভকে তুলে ধরতে একা পথে নেমেছেন। এতে শহরের সাধারণ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।

Advertisement

তাঁর আরও অভিযোগ, রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া চলছে। এ জন্য অফিস লাগোয়া ১০০ মিটার দূরত্বে ১৪৪ ধারা জারি আছে। তা সত্ত্বেও শাসক দলের কর্মীরা দলীয় পতাকা, লাঠি, কাঠ-সহ জমায়েত হয়েছিল। পুলিশ-প্রশাসন শাসক দলের কর্মীদের না হঠিয়ে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেয়। এমনকী হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তা দিতে চায়নি পুলিশ।

তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি ভাল নাটক জানেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তাই এখন পথে পথে ঘুরছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন