ঝোঁক বেশি ব্র্যান্ডের দিকে

মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে— ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। গত ৮ জুলাই ওই নির্দেশিকা জারি হতেই কলকাতা থেকে মফস্‌সল সর্বত্রই বিক্রি বাড়ছে হেলমেটের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও বোলপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৪
Share:

মাথা বাঁচাতে। বোলপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে— ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’। গত ৮ জুলাই ওই নির্দেশিকা জারি হতেই কলকাতা থেকে মফস্‌সল সর্বত্রই বিক্রি বাড়ছে হেলমেটের।

Advertisement

জেলা সদর সিউড়িতে প্রায় পনেরো বছর ধরে হেলমেটের ব্যবসা করছেন মহম্মদ তারিক। তিনি জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাসে যা বিক্রি হয়নি বুধ এবং বৃহস্পতি, এই দু’দিনে বিক্রি হয়েছে তার চেয়েও বেশি! গত কয়েক মাসে হেলমেট বিক্রি তলানিতে ঠেকেছিল। ‘‘প্রশাসন কিছুটা সক্রিয় হতেই বিক্রি বেড়েছে হেলমেটের’’— বলছেন তারিক। একছি ছবি বোলপুরেও। মসজিদ রোডের দোকন মালিক সব্যসাচী রায়চৌধুরী জানালেন, দিনে হাজার চারেক টাকার বিক্রি হত। গত দু’দিনে সেটা হাজার টাকা বেড়েছে। দুবরাজপুরের ব্যবসায়ী অভয় ঘোষ বহু বছর ধরেই হেলমেট বিক্রি করছেন। তিনিও জানালেন, বিক্রি কিছু বেড়েছে। চাহিদাও দামি হেলমেটের দিকেই। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে হেলমেট কিনতে আসছেন।

বাজার ঘুরে জানা গেল, ২০০ টাকা থেকে শুরু করে এক-দু’হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি দামের হেলমেট রয়েছে। ব্র্যান্ডেড ও শক্তপোক্ত হেলমেটের দাম শুরু মূলত ৭০০ টাকা থেকে। প্রশ্ন উঠছিল, নিয়মের কড়াকড়ি দেখে মোটরবাইক আরোহীরা দামের সঙ্গে আপোস করে সস্তার হেলমেট কিনছেন না তো?

Advertisement

বিক্রেতারা জানালেন, সস্তার হেলমেটের থেকে ক্রেতাদের ঝোঁক রয়েছে ভাল হেলমেটের দিকেই। ভাল হেলমেটের উপকারিতা বুঝিয়ে ক্রেতাকেও ওই হেলমেট নেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এক বিক্রেতার কথায়, ‘‘ক্রেতারাও বলছেন কিনতেই যদি হয় ভালটাই দিন। না হলে আর লাভ কি?’’ কেন কম দাবি হেলমেট নয়? এক বিশেষজ্ঞের মত, কম দামের হেলমেটগুলি প্লাস্টিকের তৈরি। তার উপরে বিভিন্ন রং করে স্টিকার লাগানো থাকে। ট্যাগ কিংবা বার-কোডের বালাই নেই। তবে কম দামের হেলমেটেও আইএসআই ছাপ থাকে। যদিও তা সামান্য আঘাতেই ভেঙে যায় কিংবা চিড় ধরে যায়। অন্য দিকে বেশি দামের হেলমেট তৈরি হয় ফাইবার দিয়ে। ভিতরে থার্মোকলের আস্তরণও অনেক পুরু মাত্রায় থাকে। তা প্রাথমিক আঘাত সামলেও নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্ত্রী-র জন্য হেলমেট কিনছিলেন সিউড়ির সন্দীপ রায়। সন্দীপবাবু বলছেন, ‘‘আমার হেলমেট রয়েছে। কিন্তু বউয়ের ছিল না। ওর জন্যেও এ বার নিয়ে নিলাম। খারাপ কিছু হলে শুধু আমার সঙ্গেই তো আর হবে না!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন