—প্রতীকী ছবি।
সহায়হীন এক মহিলার তিন সন্তানকে আপাতত হোমে রাখার বন্দোবস্ত করল চাইল্ড লাইন। শুক্রবার পুরুলিয়া শহরের ভাটবাঁধ পাড়ার একটি হোমে ওই তিন জনকে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পরে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার পরে মাস সাতেক ধরে দুই এবং চার বছরের শিশুপুত্র এবং ছ’বছরের এক কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে শহরে ভবঘুরে জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, কখনও বাসস্ট্যান্ড, কখনও হাসপাতাল চত্বরে থাকতেন। দিন গুজরান হতো ভিক্ষা করে।
চাইল্ডলাইন এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল প্রায় ৮টা নাগাদ পুরুলিয়া সদর হাসপাতালর চত্বরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যায়লের পিছনে তিনি এক সন্তানের জন্ম দেন। প্রশাসনিক কার্যালয় হওয়ায় বেলা ১০টার আগে ওই দিকে কেউ আনাগোনা করেন না। হাসপাতালের সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায় জানান, লোকমুখে খবর পাওয়া মাত্রই পুরুলিয়া থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের কর্মীরা এসে ওই মহিলা এবং সদ্যোজাতকে হাসপাতালে ভর্তি করান।
সেই সময়ে, অদূরেই একটি ফাঁকা জায়গায় মহিলার অন্য তিন সন্তান খেলাধুলা করছিল। উদ্ধার করা হয় তাদেরও।
তবে, পুলিশ এসে ভর্তি করানোর আগে ওই মহিলা এবং সদ্যোজাতের চিকিৎসা শুরু করা হল না কেন তা নিয়ে ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, নিয়ম মেনেই সব কিছু করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যোজাত পুত্র সন্তানটিকে নবজাতক শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলা চাইল্ড লাইনের কর্মকর্তা দীপঙ্কর সরকার জানান, পুরুলিয়া সদর মহকুমাশাসকের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ওই মহিলার অন্য তিন সন্তানকে আপাতত হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাইকে প্রচার। সর্বজনীন কালীপুজোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হল। মানবাজার থানার সর্বজনীন কালীপুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পুজোর দিন পায়রাচালি সেতু থেকে মানবাজার ১ ব্লকের মাঠ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা হবে। যে কোনও বয়সের মহিলা এবং পুরুষেরা প্রতিযোগীতায় যোগ দিতে পারবেন। বিজয়ীদের জন্য থাকছে পুরস্কারের বন্দোবস্ত।