nalhati

Nalhati High School: মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ছাত্রীর নম্বর কমানোর আর্জি, নলহাটির স্কুলে উলটপুরাণ!

প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মার্কশিট হাতে পাননি নলহাটি হাইস্কুল ফর গার্লস স্কুলের পড়ুয়া অনন্যা মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ২৩:২৭
Share:

নিজস্ব চিত্র।

নম্বর বাড়ানোর দাবিতে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ করেছেন উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণরা। প্রত্যাশিত নম্বর না পেয়ে তা খতিয়ে দেখার জন্য দাবি তোলেন তাঁরা। তবে পুরুলিয়ার নলহাটিতে একটি স্কুলে দেখা গেল উল্টো চিত্র! ওই স্কুলে এক মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীর ৬৫১ নম্বর পাওয়া নিয়ে সন্দিহান স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের দাবি, ওই ছাত্রী মাধ্যমিকে এত নম্বর পাওয়ার যোগ্য নয়। এ নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নম্বর সংশোধনের আর্জি জানিয়েছে স্কুল।

Advertisement

মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত ২০ জুলাই। তার পরে প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মার্কশিট হাতে পাননি নলহাটি হাইস্কুল ফর গার্লস স্কুলের পড়ুয়া অনন্যা মণ্ডল। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিন্‌হার বক্তব্য, ‘‘অনন্যা যা নম্বর পেয়েছে, তা পাওয়ার কথা নয়। তাই মার্কশিট ছাত্রীর হাতে দেওয়া হয়নি।’’ নলহাটির পাথরকল পাড়ার বাসিন্দা অনন্যার অভিযোগ, স্কুলে মার্কশিট চাইতে গেলে তাকে ও পরিবারকে তাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। অনন্যার কথায়, ‘‘মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার পর অনলাইনে দেখি আমার প্রাপ্ত নম্বর ৬৫১। রেজাল্ট আনতে গেলে মার্কশিট দিতে অস্বীকার করে স্কুল। প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিন্‌হা জানিয়েছেন, ওই নম্বর পাওয়ার যোগ্য নই। ভুল করেই ৬৫১ নম্বর চলে এসেছে। ফলাফল ফের পর্ষদে পাঠানো হবে। এক মাস পরে নম্বর সংশোধন করে তার পর মার্কশিট দেওয়া হবে। সোমবার মার্কশিট নিতে ফের স্কুলে গেলে রীতিমতো দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

মার্কশিট হাতে না পেয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন‍্য কোথাও আবেদন করতে পারছেন না অনন্যা। তা ছাড়া এই প্রাপ্ত নম্বর পাড়াপ্রতিবেশী-আত্মীয়স্বজনকে দেখিয়ে বিড়ম্বনার শিকারও হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। অনন্যার মা নিরুপমা দেবীর দাবি, ‘‘মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর না দিলে মেয়ে হয়তো অপমানিত হয়ে কিছু একটা করেও ফেলতে পারে। তার জন‍্য দায়ী থাকবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা ইচ্ছে করেই মার্কশিট দিচ্ছেন না। এমনকি, স্কুলে ঢুকলে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’’

Advertisement

তবে প্রধান শিক্ষিকার পাল্টা দাবি, ‘‘মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনন্যার নম্বর বেশি। স্কুলের অন্য দু’জনের নম্বর কম এসেছে। ওই দু’জন কম নম্বর পাওয়ার মতো ছাত্রী নয়। তাই আমি তিন জনের ফলাফল যাচাইয়ের জন্য ফের পর্ষদের পাঠিয়েছি। এখন পর্ষদ যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন